spot_imgspot_imgspot_img
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার নিবন্ধিত। রেজি নং-৯২
রবিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৩
প্রচ্ছদচট্টগ্রামপিএইচডি ডিগ্রি পেলেন চট্টগ্রামের ডিসি ফখরুজ্জামান

পিএইচডি ডিগ্রি পেলেন চট্টগ্রামের ডিসি ফখরুজ্জামান

নিজস্ব প্রতিবেদক
spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

ডক্টর অব ফিলোসফি (পিএইচডি) ডিগ্রি পেয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আর্ন্ডট কর্ডেন ডিপার্টমেন্ট অব ইকোনমিকস থেকে অর্থনীতিতে তিনি এ ডিগ্রি অর্জন করেন। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রার স্টক পিয়ারসালের পাঠানো এক অভিনন্দন বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। তার থিসিসের বিষয় ছিল ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল আপগ্রেডিং ইন দ্য অ্যাপারেল ভ্যালু চেইন: এভিডেন্স ফ্রম বাংলাদেশ’।

২৪তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাবেক শিক্ষার্থী ছিলেন।

এ বিষয়ে ফখরুজ্জামান বলেন, প্রায় ৫ বছর সাধনার পর কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পেয়েছি। এ গবেষণায় বহু বিনিদ্র রজনী পার করেছি। আজকের অর্জনের ভালো লাগা বলে বোঝানো যাবে না। চাকরির পাশাপাশি গবেষণা চালিয়ে যাওয়া তো একটা চ্যালেঞ্জ আছেই। প্রথমত সেশনটা ছিল বৈশ্বিক মহামারি কোভিডে। কোভিডের কারণে অনেকগুলো প্রোগ্রামিং আমাকে শিখতে হয়েছে। কোভিড না হলে হয়তো কারো সহযোগিতা পেতাম। কিন্তু কারো সহযোগিতা নেওয়ার মতো অবস্থা ছিল না। নিজের সব কিছুই নিজেকে করতে হয়েছে।

তিনি বলেন, শিক্ষা ও গবেষণা কাজে অস্ট্রেলিয়ার একটা নীতি আছে। সেটি হলো জ্ঞানের রাজ্যে নতুন জ্ঞান যুক্ত করতে হবে নয়তো চলমান যে কোনো জ্ঞানকে চ্যালেঞ্জ করতে হবে। এ দুটোর কোনোটা না হলে অস্ট্রেলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সাধারণত ডিগ্রির অনুমোদন দেয় না। কনফার্মেশন লেটার পাওয়ার আগ পর্যন্তই অনিশ্চয়তায় ছিলাম। তিনজন সুপারভাইজর, এক্সটার্নালরা যদি থিসিসে সন্তুষ্ট না হন আমার পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন হবে না। গত পাঁচ বছর কত পরিশ্রম করেছি সেটাতো আমিই কেবল জানি। এমনও হয়েছে পেপার জমা দিয়েছি, প্রফেসররা বললেন এভাবে নয়, এভাবে করো। নির্দেশনা অনুযায়ী করলাম। আবার নতুন করে নির্দেশনা দিলেন। এভাবে সময়, শ্রম যা দিয়েছি, যত অনিশ্চয়তা ছিল বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রারের এক অভিনন্দন বার্তায় সব আনন্দে পরিণত হলো।

জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান ২০১৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তিন বছর অস্ট্রেলিয়াতে সরাসরি গবেষণার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। ছুটি শেষ হয়ে যাওয়ায় দেশে ফিরে চাকরিতে যোগদান করে গবেষণার বাকি অংশ শেষ করেন। পড়াশুনার পাশাপাশি একজন পরিশ্রমী মানুষ হিসেবে তিনি মাঠপ্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে কাজ করে যাচ্ছেন।

জেলা প্রশাসক ফখরুজ্জামান চট্টগ্রামে হাজার একর খাসজমি উদ্ধার, পর্যটনখাতের উন্নয়ন, চট্টগ্রামকে স্মার্ট জেলার রূপান্তর, শিক্ষা ব্যাবস্থার অগ্রগতি, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাসহ উন্নয়নের কাজে নিরলসভাবে কাজ করছেন। একজন সৃজনশীল জেলা প্রশাসক হিসেবে তিনি চট্টগ্রাম জেলায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করছেন।

ব্যক্তিগত জীবনে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের দুই সন্তানের জনক। তার স্ত্রীর নাম তানজিয়া রহমান।

আরও পড়ুন

spot_img

সর্বশেষ