spot_imgspot_imgspot_img
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার নিবন্ধিত। রেজি নং-৯২
শনিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৩
প্রচ্ছদচট্টগ্রামকক্সবাজারমহেশখালীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গুলি, যুবক খুন

মহেশখালীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গুলি, যুবক খুন

কক্সবাজার প্রতিনিধি
spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

কক্সবাজারের মহেশখালীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুকে গুলি চলানোর ঘটনায় সোহেল নামের  যুবককের মৃত্যু হয়েছে।  আহসান নামের এক সন্ত্রাসী তার বুকে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার প্রাণহানি ঘটে বলে স্থানীয়দের বরাতে জানিয়েছেন মহেশখালী থানার ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের মগরিয়াকাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মুহাম্মদ সোহেল (২৫) বড় মহেশখালী মগরিয়াকাটা আমতলী গ্রামের মুহাম্মদ ওসমানের ছেলে এবং পেশায় জেলে।

নিহতের মা জানিয়েছেন- তার ছেলে সোহেল সকালে বাড়ির সামনে বের হলে তাদের এলাকার মৃত নজর আলীর ছেলে সন্ত্রাসী আহসান তার বুকে গুলি করে খুন করেছে। কোন্ বিরোধের কারণে ছেলেকে খুন করা হলো, সেই বিষয়ে জানেন না তিনি (মা)। তার ছেলের সাথে এলাকায় কারো সাথে বিরোধ নেই বলে দাবি করেন মা।

এলাকাবাসী জানান, বুধবার রাতে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ভারত-নিউজিল্যান্ড খেলা চলাকালীন আমতলী দোকানে পানির গ্লাস নেয়াকে কেন্দ্র করে সোহেলের সাথে আহসানের কথাকাটাকাটি হয়। পরে যে যার যার মত বাড়ি চলে যায়। সেই বিষয়কে কেন্দ্র করে প্রতিশোধ নিতে আহসান তার লোকজন নিয়ে সকালে সোহেলকে গুলি করে হত্যা করেছে। এসময় সোহেলকে বাঁচাতে এলে আরো ৫জন গুরুত্বর আহত হন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন বলেন, এহেছানের কয়েক নিকটাত্মীয়ের সাথে জেলা ও থানা পুলিশের উর্ধতনদের সাথে যোগাযোগ ভালো। রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পুলিশ প্রধানের সাথেও সখ্যতা। এসব বিষয় এলাকায় ভালোমতই প্রচার আছে। যে কারণে সবাইকে ‘তোড়াইকিয়ার’ করে দাপটেই চলতো আহসান। যার ফলাফল তুচ্ছ ঘটনায় সাধারণ জেলেকে গুলি করে হত্যা করতে তার দ্বিধা হয়নি। ঘটনার পর পরই আহসানের সেই আত্মীয়রা ঘটনার মোঢ় ঘুরাতে ততপরতা চালানো শুরু করেন।

অভিযুক্ত আহসানের পরিবার থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, বুধবার রাতে বড় মহেশখালীর আমতলীর মতিউর রহমানের দোকানে ক্রিকেট খেলা দেখছিল আহসানসহ কয়েক যুবক। একসময় পাণীয় চাই স্থানীয় মোবারক ও আহসান। এসময় দোকানদার পানির বোতলে থু-থু দিলে তিনজনের কথা কাটাকাটি হয়। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মোবারক বাজারে যাওয়ার সময় তাকে দোকানদার মতিউর ও তার স্বজনরা মারধর করে। পরে দুপক্ষের মাঝে সংঘর্ষ হয় এতে স্থানীয় সোহেল গুরুতর আহত হয়ে মারাযায়। সংঘর্ষে স্থানীয় হোসন, এরশাদ, মতিউর রহমান, আহসান, সোনা মিয়া, মোবারকসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। ঘটনার পর দোকানী মতিউরের নেতৃত্বে ৩০/৩৫ জন লোক আহসানদের বসতবাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর, লুটপাট চালায়। এসময় নগদ টাকা, স্বর্ণলংকারসহ নিয়ে যায়।

তবে, আমতলীর দোকানদার মতিউর রহমান তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, হত্যাকান্ডকে আড়াল করতে আহসানের ভাইয়েরা ‘উদুর পিন্ডি বুদুর ঘাড়ে’ চাপাচ্ছেন। এর আগেও কক্সবাজারে আহসানের ভাইয়েরা অন্যের সম্পদ হাতাতে এভাবে পল্টি মারার অনেক ঘটনা ঘটিয়েছিলেন। যা সবার জানা।

মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। কাছ থেকে দেশীয় গুলি করেই তাকে খুন করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ আছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। মরদেহের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তের বাড়িতে হামলার ঘটনাও তদন্ত করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন

spot_img

সর্বশেষ