কক্সবাজার প্রতিনিধি »
কেনাকাটা শেষে মেয়েকে সাথে নিয়ে অটোরিকশা করে বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন মাদ্রাসা শিক্ষক আবু আজম। আর মাত্র দুশ’ গজ সামনে যেতে পারলে বাড়িতে ঢুকে যেতেন। কিন্তু নিয়তি তাকে আর জীবিত বাড়ি ফিরতে দেয়নি।
মাহিন্দ্রা সার্ভিসের (স্থানীয় ভাষায় ছারপোকা) যাত্রীবাহি মিনি গাড়ির ধাক্কায় তার অটোরিকশা দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারিয়েছেন তিনি। এসময় তার মেয়ে ও রিকশা চালকও আহত হয়েছেন। তাদের চকরিয়ার মালুমঘাট খ্রিষ্টান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (২৪জুন) দিনগত রাত ৯টার দিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের খুটাখালি নয়াপাড়া এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আবু আজম (৫২) চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের নয়াপাড়ার মরহুম মোস্তাক আহমদের ছেলে ও কক্সবাজার সদরের ইসলামাবাদ খোদাইবাড়ি এ জি লুৎফুল কবির আর্দশ বালিকা দাখিল মাদরাসার শিক্ষক ছিলেন।
খুটাখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার গিয়াস উদ্দীন তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার রাত পৌনে ৯ টার দিকে মাওলানা আবু আজম খুটাখালী বাজার থেকে মেয়েসহ অটোরিক্সা যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় তাদের রিক্সাটি নয়াপাড়ার কাছাকাছি মহাসড়কের ব্রীজ এলাকায় পৌঁছলে ঈদগাঁওর দিক থেকে আসা দ্রুতগামী ছারপোকা স্বজোরে ধাক্কা দিলে রিক্সাটি মহাসড়ক থেকে ছিটকে দুমড়ে মুছড়ে খাদে গিয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, স্থানীয়ররা তাদেরকে উদ্ধার করে মালুমঘাট খ্রিষ্টান হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মাওলানা আজমকে মৃত ঘোষনা করে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত তার মেয়ে ও রিক্সা চালককে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
খবর পেয়ে মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ছারপোকা গাড়িটি জদ্ধ করলেও চালক পলাতক রয়েছে।
মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ছারপোকা গাড়িটি জদ্ধ করে ফাঁড়িতে নিয়ে এসেছে। নিহতের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর