spot_imgspot_imgspot_img
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার নিবন্ধিত। রেজি নং-৯২
বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩
প্রচ্ছদজাতীয়ডিসেম্বরের মধ্যে কালুরঘাট নতুন সেতুর কাজ শুরু না হলে পদত্যাগের হুমকি...

ডিসেম্বরের মধ্যে কালুরঘাট নতুন সেতুর কাজ শুরু না হলে পদত্যাগের হুমকি বাদলের

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

বাংলাধারা প্রতিবেদন »

ডিসেম্বরের মধ্যে কালুরঘাট রেল কাম সড়ক সেতু নির্মাণ কাজ শুরু না হলে পদত্যাগের কথা গণমাধ্যম ও প্রধানমন্ত্রীকে বলার পর এবার সংসদকেও জানিয়ে দিয়েছেন চট্টগ্রাম ০৮ আসনের সংসদ সদস্য মইন উদ্দিন খান বাদল।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় (২৫ জুন) জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে বক্তব্য দিতে গিয়ে চট্টগ্রামের প্রবীণ এ সংসদ সদস্য মুরাদপুর ফ্লাইওভারে জলজট নিয়েও প্রশ্ন তুলেন।

স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংসদ অধিবেশনে সাংসদ বাদল কালুরঘাট নতুন সেতু নির্মাণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘দেশে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ আছে। তারমধ্যে আমি হচ্ছি বলাউল্লাহ কেননা এই কালুরঘাট নতুন সেতু নিয়ে বারবার বলেই যাচ্ছি কোন কাজই হচ্ছে না। আবার বলা চলে গরিবউল্লাহও, কেননা আমার মনে হয় আমি গরীব সাংসদ বলে মন্ত্রীও কথা শুনেন না।

তিনি বলেন, ২০১২ সাল থেকে কালুরঘাট নতুন সেতুটি নিয়ে এ পর্যন্ত চারটি দেশের বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠান সমীক্ষা চালিয়েছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ১৬৪ কোটি ৯৮ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। যার মধ্যে ১ হাজার ১৪৬ কোটি টাকার দক্ষিণ কোরিয়ার ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ফান্ড (ইডিসিএফ)। বাকি টাকার যোগান দেবে বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু মন্ত্রীকে বারবার বলার পরও কেন জানি এ প্রকল্পটা বারবার আটকে যাচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘কালুরঘাট নতুন সেতুটির জন্য আমি এলাকায় মুখ দেখাতে পারিনা। মানুষ আমার মরা মা তুলে গালি দেয়। আমি এটা আর সহ্য করব না। যদি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে কালুরঘাট সেতুর কোনও সুরাহা না হয় তাহলে আমি এ সংসদ থেকে পদত্যাগ করব।

মন্ত্রী কালুরঘাট সেতুটি নির্মাণে কোনও উদ্যোগ না নিলেও নিজের এলাকায় নতুন করে রেল সার্ভিস চালু করলেন। মন্ত্রীর কাছে এসবের জবাব চাই।’

উল্লেখ্য, ব্রিটিশ আমলে নির্মিত কালুরঘাট রেল কাম সেতুটি জরাজীর্ণ হওয়ায় দুই দশকের বেশি সময় ধরে লাখ লাখ মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দক্ষিণ চট্টগ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে এবং বর্তমান সরকারের সদিচ্ছায় প্রস্তাবিত চীন, মিয়ানমার এবং ভারতের সঙ্গে রেল নেটওয়ার্ক স্থাপন এবং কর্ণফুলী নদীর ওপর পুরানো কালুরঘাট রেল সেতু ভেঙে নতুন করে রেল কাম সড়ক সেতু নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।

এ সেতুটি সরকারের মেগা প্রকল্প দোহাজারী-ঘুমধুম রেললাইনের অন্তর্ভুক্ত। বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কর্তৃপক্ষ ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর কালুরঘাট কর্ণফুলী নদীর ওপর রেল কাম সড়ক সেতু নামে একটি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল (ডিপিপি) তৈরি করে ঢাকাস্থ রেলভবন কার্যালয়ে পাঠায়।

পরে সেটি যাচাই-বাছাই শেষে কয়েক দফা পুনর্গঠন করে ২৭ মার্চ সংশোধিত ডিপিপি রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগে পাঠানো হয়। প্রকল্প অনুসারে ২০২০ সালের শুরুতে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২৩ সালের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ১৬৪ কোটি ৯৮ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। যার মধ্যে ১ হাজার ১৪৬ কোটি টাকার দক্ষিণ কোরিয়ার ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ফান্ড (ইডিসিএফ)। বাকি টাকার যোগান দেবে বাংলাদেশ সরকার।

রেল কর্মকর্তাদের মতে, প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের যে প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন আছে, তার সুফলও নির্ভর করছে কালুরঘাটে নতুন সেতু নির্মাণের ওপর।

সংসদে মইন উদ্দিন খান বাদল চট্টগ্রামের মুরাদপুর ফ্লাইওভারে জলজট নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘আমাদের চট্টগ্রামে বেশ কয়টি ফ্লাইওভার করা হয়েছে। কিন্তু বৃষ্টি হলে সেগুলোতে পানি জমে যায়। এনিয়ে চট্টগ্রামের একটি পত্রিকায় ছবিসহ সংবাদ প্রকাশ করে লিখেছে ফ্লাইওভারের ওপরেও পানি নীচেও পানি। এসব ফ্লাইওভার কার টাকা কীভাবে খরচ করা হয়েছে? এখানে ওই সময়ের মন্ত্রী আছেন। তিনি নিজেও ইঞ্জিনিয়ার। তিনিও বাধাও দিয়েছিলেন এই ফ্লাইওভারটি নির্মাণের বিরোধীতা করে আমার প্রশ্ন এসব কীভাবে হচ্ছে? লাখ টাকার প্রকল্প কোটি টাকা হয়ে যাচ্ছে দফায় দফায়। ইচ্ছামত প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে আর খরচ করা হচ্ছে।’

সংসদে দেওয়া বক্তব্যে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান, সংবিধানে কৃষক শ্রমিকের যে ন্যায্যতার কথা বলা হয়েছে তার প্রতিফলনের দাবিসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন প্রবীন এ সংসদ সদস্য।

বাংলাধারা/এফএস/এমআর

আরও পড়ুন

spot_img

সর্বশেষ