বাংলাধারা প্রতিবেদন »
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, নারী-পুরুষের যে ভেদাভেদ, পার্থক্য, বৈষম্য আছে তা কমিয়ে এনে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার দিকে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশে ৫০ শতাংশ নারী সদস্য নিয়োগের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে বাংলাদেশ উইমেন পুলিশ অ্যাওয়ার্ড-২০১৯ উপলক্ষে নগরীর কাজীর দেউড়িস্থ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নওফেল বলেন, আমি বিশ্বাস করি, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা নির্ধারিত সময়ের আগেই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবো। তিনি বলেন, নারী সমাজকে এগিয়ে দেয়ার জন্য আমার অবস্থান থেকে চেষ্টা করি। যে উন্নয়নটা আমরা দেখছি, সেই উন্নয়নটা কখনোই টেকসই হবে না, যদি আমাদের নারী সমাজ এগিয়ে না আসে।
বিগত এসএসসি পরীক্ষায় আমরা দেখলাম ৬০ শতাংশ পরীক্ষার্থী। আমাদের বড় বড় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যদি দেখি, আমাদের মেয়েরা অনেকদূর এগিয়ে যাচ্ছে, উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে। কিন্তু কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে, কর্মক্ষেত্রে আমরা তাদেরকে হারিয়ে ফেলছি। আমরা তাদেরকে কেন হারিয়ে ফেলছি, সেটা নিয়ে অনেক আলোচনা হতে পারে। তবে সবচেয়ে বড় যে চ্যালেঞ্জ সেটা হচ্ছে, সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এই সামাজিক নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোবাবেলায় বাংলাদেশ পুলিশে ব্যাপক নারী সদস্য নিয়োগ করা এবং তাদেরকে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়ার কোন বিকল্প নেই।
শিক্ষা উপমন্ত্রী আরো বলেন, রাষ্ট্র যে বিশাল বিনিয়োগটা করছে, আমাদের নারী সমাজের উপরে, বিশেষ করে শিক্ষা খাতে, সেই বিনিয়োগের লভ্যাংশ আমরা পাবো না, যদি নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত না হয়। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে অন্তত ৫০ শতাংশ নারী সদস্য যাতে নিয়োগ হয়, সেদিকে পুলিশের লক্ষ্য রাখা উচিত। প্রসঙ্গত, বর্তমানে দেশে নারী পুলিশের সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার, যা বাংলাদেশ পুলিশের মোট জনবলের ৭ দশমিক ১০ শতাংশ।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর/টিএম/বি