কক্সবাজার প্রতিনিধি »
কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে হত্যা ও মাদকমামলার পলাতক আসামী দু’ ভাই নিহত হয়েছেন। শুক্রবার ভোররাতে টেকনাফের হ্নীলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছন এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এসময় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
ঘটনাস্থলের আশপাশ এলাকায় তল্লাশী করে ২টি এলজি (আগ্নেয়াস্ত্র), ২টি অটো ছুরি, ২টি কিরিচ,৭ রাউন্ড শর্টগানের তাজা কার্তুজ ও ১২ রাউন্ড কার্তুজের খোসা পাওয়া যায় বলে দাবি করেছেন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।
নিহতরা হলেন, কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলার পূর্ব সিকদারপাড়ার মোহাম্মদ হোসেন মাহদু’র ছেলে আব্দুস সালাম (২৬) ও আব্দুর রহমান (৩০)।
ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, হত্যাসহ একাধিক মামলার পলাতক আসামী দু’ভাইকে ধরতে অভিযানে যান মামলার তদন্ত কর্মমর্তা এস আই মশিউর রহমান। হ্নীলা ইউপিস্থ হ্নীলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আব্দুস সালাম ও আব্দুর রহমানসহ তাদের সহযোগী অস্ত্রধারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এতে ঘটনাস্থলে এসআই কামরুজ্জামান, কনস্টেবল হেলাল ও রাসেল আহত হয়।
তিনি বলেন, তাৎক্ষণিক আমার নির্দেশে নিজেদের জীবন, সরকারী সম্পত্তি রক্ষার্থে পুলিশ ৪৮ রাউন্ড গুলি করে। একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা পিছু হটলে ঘটনাস্থলে দুজনের গুলিবিদ্ধ দেহ পাওয়া যায়। আশপাশ এলাকায় তল্লাশী করে ২টি এলজি, ২টি অটো ছুরি, ২টি কিরিচ,৭ রাউন্ড শর্টগানের তাজা কার্তুজ ও ১২ রাউন্ড কার্তুজের খোসা মিলে।
তিনি আরো বলেন, পরবর্তীতে গুলিবিদ্ধ সালাম ও রহমানকে ভোররাত ২টার দিকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। কর্তব্যরত ডাক্তার তাহাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরন করেন। ভোরবেলা কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পৌছালে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষনা করেন।
নিহতদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে ৬টি মামলা রয়েছে বলে দাবি করে ওসি আরো জানান, মরদেহগুলো ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। বন্দুকযুদ্ধ ও অস্ত্র উদ্ধার ঘটনায় পৃথক মামলা করা হচ্ছে।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর