spot_imgspot_img
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার নিবন্ধিত। রেজি নং-৯২
শনিবার, ৩ জুন ২০২৩
প্রচ্ছদজাতীয়সিলেটে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি, বন্যার আশঙ্কা

সিলেটে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি, বন্যার আশঙ্কা

spot_img

বাংলধারা ডেস্ক »

কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সিলেটের জৈন্তাপুর ও কানাইঘাট উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ দুই উপজেলায় নদীর পানি
বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একাধিক উপজেলায় নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে।

পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ইতোমধ্যে কুশিয়ারা তীরের নিন্মাঞ্চলের ধান ও বিভিন্ন ফসলী জমি ডুবে গেছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে সিলেটজুড়ে বন্যা দেখা দিতে পারে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড গেজ রিডার গিয়াস উদ্দিন বলেন, পানি এখনো বিপদ সীমায় আসে নি। বর্তমানে কুশিয়ারা নদীর পানি ৮.৬৪ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এভাবে বৃষ্টি হলে শনিবারের দিকে পানি বিপদসীমার উপরে চলে যাবে।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, শুক্রবার বিকেলে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এভাবে বৃষ্টি হতে থাকলে শনিবারের দিকে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদ সীমার উপরে প্রবাহিত হবে।

পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, ‘টানা বর্ষণে কানাইঘাট ও সারিঘাট এলাকায় বন্যার পানি বিপত্সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে বন্যার আশঙ্কা রয়ে গেছে। আমরা পুরো বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।’

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার সিলেটে টানা বৃষ্টিপাত শুরু হয়। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল। গতকাল সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৮২.৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এদিকে অবিরাম বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার সারি নদীর পানি বেড়ে আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

এর মধ্যে আসামপাড়া হাওর, সানকি ভাঙ্গা, নয়াগাঙ্গের পাড়, বাংলাবাজার হাওর, লাখেরপাড়, নয়াবস্তি, শান্তিনগর গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। লাখেরপাড়ের বাসিন্দা রাশেদ আলম রাজ্জাক বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাত থেকে বন্যার পানি গ্রামে ঢুকতে শুরু করেছে। পানি বাড়ছে। আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।’

বাংলাধারা/এফএস/এমআর/এসবি

আরও পড়ুন

spot_img

সর্বশেষ