spot_imgspot_img
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার নিবন্ধিত। রেজি নং-৯২
সোমবার, ২৯ মে ২০২৩
প্রচ্ছদচট্টগ্রামলালখান বাজারে আ’লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ২, আহত ১৫

লালখান বাজারে আ’লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ২, আহত ১৫

spot_img

বাংলাধারা প্রতিবেদন »

নগরীর লালখান বাজারের কর্ণেল হোটেলের মোড় এলাকায় সরকারদলীয় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে।

সংঘর্ষ ও পুলিশের গুলিতে ১৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে চার জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি আহতরা হলেন মনির হোসেন (৪০), মো. সেলিম (২৩), মো. সুমন (১৮) ও মো. রিমন (১৭)।

শনিবার (২৯ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে লালখান বাজার মোড় থেকে বাঘঘোনা মোড় পর্যন্ত এলাকায় এই সংঘর্ষ হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ ও এলাকাবাসী।

সন্ধ্যা ৭ টার দিকে এই প্রতিবেদন লেখার সময় ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। থেমে থেমে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী জানিয়েছেন, লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুম এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলালের অনুসারীদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়।

গতকাল (শুক্রবার) গভীর রাতেও দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। বেলাল গ্রুপের যুবলীগ কর্মী সাইদুল ইসলামসহ তিনজনের ওপর আকস্মিক হামলার পরে সংঘর্ষের সূত্রপাত। ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন সাইদুল।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান শুক্রবরের ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার বিকেলে লালখান বাজারের কর্ণেল হোটেলের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করে বেলালের অনুসারীরা। মানববন্ধনে মিছিল নিয়ে আসার সময় তাদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে মাসুমের অনুসারীরা। পরে দুই গ্রুপ ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এসময় উভয় পক্ষে কয়েকরাউন্ড গুলি বিনিময় করে বলেও জানান স্থানীরা।

সংঘর্ষের খবর পেয়ে খুলশী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে তাদের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। তবে পরিস্থিতির অবনতি হলে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাঠিচার্জ ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এতে দুইপক্ষ ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। প্রায় ১৫ মিনিট পর তারা আবারও সংঘবদ্ধ হয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু করলে পুলিশ মাসুমের অনুসারীদের লাঠিচার্জ করে বাঘঘোনার দিকে সরিয়ে।

অন্যদিকে বেলালের অনুসারীরা দিদারুল আলম মাসুমের ব্যক্তিগত অফিসের সামনে জড়ো হয়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় তারা মাসুমের অফিসের সামনে রাখা একটি মোটর সাইকেলও ভাঙচুর করে।

সংঘর্ষের পর বেলালের অনুসারীরা লালখান বাজার মোড়ে এবং মাসুমের অনুসারীরা বাঘঘোনার দিকে অবস্থান নিয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তাদের মাঝে কর্ণেল হোটেলের মোড়ে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে।

প্রণব চৌধুরী বলেন, আমাদের ছোড়া গুলির স্প্লিন্টারবিদ্ধ হয়ে দুইজন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজন রিকশাচালক। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন আছে।

বাংলাধারা/এফএস/এমআর

আরও পড়ুন

spot_img

সর্বশেষ