পটিয়া প্রতিনিধি »
পটিয়া উপজেলার জিরি ইউনিয়নের একটি খামার থেকে ৬টি গরু চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। আল ওয়ালী এগ্রো খামারের নৈশপ্রহরী মো: ইসহাক (৪৫) পটিয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
নৈশপ্রহরী আনোয়ারা উপজেলার কোর্দ্দ গহিরা গ্রামের মৃত আবদুল মালেকের পুত্র। শনিবার (২৯জুন) সকালে পটিয়া থানার উপ-পরিদর্শক ও গরু চুরি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো: আকতার হোসেন গরু চুরি মামলায় নৈশপ্রহরী স্বীকারোক্তিমূলক চাঞ্চল্যকর তথ্য দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর দামপাড়া এলাকার মো. মাহাবুবুল আলমের পুত্র আহমদুল হক আনোয়ারসহ ৬ বন্ধু মিলে পটিয়া উপজেলার জিরি ইউনিয়নে আল ওয়ালী এগ্রো খামার নাম দিয়ে গরুর ব্যবসা শুরু করেন। খামারীরা আনোয়ারা উপজেলার গরু ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাকের কাছ থেকে বিভিন্ন দামের ১৪টি ষাড় গরু ক্রয় করেন। তাদের খামারে ২৩টি গরু ও ২০টি ছাগল ছিল।
গরু ব্যবসায়ী রাজ্জাকের কাছ থেকে ১৬ লাখ ৬০ হাজার টাকায় ১৪টি ষাড় গরু ক্রয় করে নেন। তার মধ্যে ১০ লাখ ৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। বাকী ৬ লাখ ৫৫ হাজার পরিশোধ না করায় ঈদের পরের দিন গভীর রাতে গরু ব্যবসায়ীর পুত্র তৌহিদুল ইসলাম খামার থেকে ৬টি গরু চুরি করে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য ১২ লাখ টাকা। চুরির পর থানায় একটি অভিযোগ করার পর পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রথমে নৈশপ্রহরীকে আটক করে। পরবর্তীতে গরু ব্যবসায়ী রাজ্জাকের পুত্র তৌহিদকে গ্রেফতার করে। তবে পুলিশ চোরাইকৃত গরু ২৪ দিনেও উদ্ধার করতে পারেনি।
খামারী আহমদুল হক আনোয়ার বাংলাধারাকে জানিয়েছেন, বকেয়া টাকা দিতে বিলম্ব হওয়ায় গরু ব্যবসায়ীর পুত্র তাদের খামার থেকে ৬টি গরু চুরি করে নিয়ে গেছে। চুরির মামলা থেকে রেহাই পেতে আসামীরা এখন নানা কৌশল নিচ্ছেন এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার পায়তারা করছে।
পটিয়া থানার উপ-পরিদর্শক আকতার হোসেন বাংলাধারাকে জানিয়েছেন, গরু চুরির পর নৈশপ্রহরীকে আটক করা হয়। নৈশপ্রহরী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক
জবানবন্দিতে গরু ব্যবসায়ীর পুত্র তৌহিদসহ ৬/৭জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি এসব গরু চুরি করে বলে জানিয়েছে।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর