খালেদ মনছুর, আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি »
আনোয়ারা ও কর্ণফুলী থানায় ৭ চোরাই মহিষ উদ্ধার হয়েছে। সোমবার (১৫ মার্চ) অভিযান চালিয়ে কর্ণফুলী থানার বন্দর ফাঁড়ি ৩ টি মহিষ ও আনোয়ারা থানার অভিযানে ৪ টি মহিষ উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া মহিষ মালিকপক্ষকে ফেরত দেয়া হচ্ছে। তবে বরাবরের মত চোরচক্রের মূূূলহোতা থাকছেন ধরা ছোঁয়ার বাহিরে।
মহিষের মালিক ভাসান চরের হাসান আলী জানান, ‘নোয়াখালী থেকে ১২টি মহিষ চুরি হয়। চুরির পর ভাসানচর থানায় একটি জিডি করি। খুঁজতে খু্ঁজতে আনোয়ারায় প্রথমে তিনটি মহিষ দেখতে পাই। এগুলো উদ্ধার করতে গেলে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের লোকজন জমির মেম্বার থেকে ক্রয় করেছে বলে আমাদের বাঁধা দিলে ৯৯৯ এ ফোন করি। পরবর্তীতে বন্দর ফাঁড়ির পুলিশের সহযোগীতায় আমরা মহিষগুলো উদ্বার করি। পরে আনোয়ারা থানা পুলিশের সহায়তায় পশ্চিমচাল এলাকা থেকে আরো ৪টি মহিষ উদ্বার করি। এগুলোও জমির মেম্বার থেকে নিয়েছেন বলে জানান তারা। বাকি ৫টির কোন খোঁজ পাইনি।’
এদিকে আনোয়ারা উপজেলার বারশত ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জমির উদ্দীন বলেন, তিনি মহিষের ব্যবসা করেন, মহিষগুলো তিনি পারকি এলাকার রাখাল সুজনের কাছ থেকে কিনেছেন। তার কাছে অনেক মহিষ থাকে। কয়েকদিন আগে সে দুইটা মহিষ জবাইও করেছে। ৪টা মহিষ আনোয়ারা থানা পুলিশ নিয়ে গেছে।
আনোয়ারা উপজেলার ভাইস-চেয়ারম্যান মরিয়ম বেগম জানান, তিনি ৩টি মহিষ ১লাখ ৯০ হাজার টাকা দিয়ে জমির মেম্বার থেকে কিনেছেন। যা চোরাই মহিষ বলে কর্ণফুলী থানার বন্দর ফাঁড়ির পুলিশ উদ্ধার করে মূল মালিকের নিকট হস্তান্তর করেন।
তিনি বলেন, ‘মহিষ কোথা থেকে এসেছে জানিনা। আমি বৈধভাবে কিনে নিয়েছি।’
তবে এতোসব ঘটনার পরও অদৃশ্য কারণে চোরচক্রের মূলহোতা রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাহিরে।
সরেজমিনে উপজেলা ঘুরে জানা যায়, জমির মেম্বার দীর্ঘ দিন একটি সিন্ডিকেট করে চোরা গরু-মহিষ ক্রয় বিক্রয় করে আসছে। কিন্তুু অজ্ঞাত কারণে সবসময় রেহায় পেয়ে যাচ্ছে মূলহোতা।
এই প্রসঙ্গে আনোয়ারা থানার এস আই আবুল ফারেজ জুয়েল বলেন,পশ্চিমচাল এলাকা থেকে চারটি চোরাই মহিষ উদ্ধার করা হয়। যাদের কাছ থেকে উদ্বার করা হয়েছে তারা জানিয়েছে জমির মেম্বার থেকে কিনেছে।
তিনি বলেন মহিষের মূল মালিক এই ঘটনায় মামলা করলে আমরা ব্যবস্থা নিব।
বাংলাধারা/এফএস/এআই