কক্সবাজার প্রতিনিধি »
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ঈদগাঁওর ভোমরিয়াঘোনা রেঞ্জের পুর্নগ্রাম বনবিটস্থ গামারি ঘোনা ঝিরি এলাকার পানিতে ভাসন্ত একটি মৃত বন্যহাতি উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভাসন্ত হাতির মৃতদেহটি উদ্ধার করে বনকর্মীরা। ময়নাতদন্তের পর হাতিটি কি কারণে মারাগেছে তা বের করতে কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঈদগাঁও ভোমরিয়াঘোনা রেঞ্জ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন।
ভোমরিয়াঘোনা রেঞ্জ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন স্থানীয় চাষিদের বরাত দিয়ে জানান, ঈদগাঁও ভোমরিয়াঘোনা রেঞ্জের পুর্নগ্রাম বনবিটের ভিতরে প্রতিদিন হাতির পাল বিচরন করে। চলতে গিয়ে হয়তো কোন কারণে নিচে পড়ে মারা গেছে হাতিটি। হাতির শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঁচড়ের দাগ রয়েছে। মনে হচ্ছে পড়ে যাবার সময় গাছের গুড়ি ও মাটির আঘাত পেয়েছে। তবে, হাটিটি কয়েকদিন আগে মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, মরদেহটি উদ্ধারের পর ভেটেনারী চিকিৎসক দিয়ে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর রহস্য জানা যাবে। মারা যাওয়া হাটিটি মাদি হাতি। এটার বয়স আনুমানিক ৮-১০ বছর হতে পারে। এর দাঁতগুলো ছোট তা ছোঁড়ের কাছাকাছি অক্ষত রয়েছে।
স্থানীয় আবদু শুক্কুর, রহিম উদ্দিন, আলি আজগর বলেন, হাতিটিকে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এর আগেও একই এলাকায় গুলি করে বন্যহাতি মারার ঘটনা ঘটেছিল। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়। এটিও হত্যার শিকার হয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা দরকার বলে মন্তব্য করেন তারা।
কক্সবাজারে পরিবেশ নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিরা জানান, কক্সবাজারের বিভিন্ন বনাঞ্চলে গত দুয়েক বছর ধরে অস্বাভাবিকভাবে হাতির মৃত্যু হচ্ছে। পরিকল্পিতভাবে অনেকে এ হাতি হত্যা করছে। অনেকে বিদ্যুৎ তার দিয়ে , অনেকে গুলি করে আবার অনেকে ফাঁদ দিয়ে হাতি হত্যা করছে। একইভাবে এই হাতিটিকেও হত্যা করা হয়েছে হয়তো। দাঁত সংগ্রহ করতেই বন্যহাতি শিকারীরা গুলি করতে পারে বলে মন্তব্য করেন তারা।
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. তহিদুল ইসলাম বলেন, মৃত হাতিটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্ত করে মাটিতে পুতে ফেলা হয়েছে। কি কারণে হাতিটি মারা গেলো তা আবিস্কার করা গেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
বাংলাধারা/এফএস/এআর