‘ছাত্রদের রক্তে রঞ্জিত এ এক নতুন বাংলাদেশ। এটি এখন আর শেখ হাসিনার দেশ নয়। ফ্যাসিস্ট হাসিনা বাসায় থাকা মায়ের কোলের নিষ্পাপ শিশুদের ওপর পর্যন্ত গুলি চালিয়েছে। ২৪ জন শিশু শাহাদাত বরণ করেছে।’
শনিবার (১৭ আগস্ট) সকালে পৌর সদরের একটি কমিউনিটি সেন্টারের উপজেলা জামায়াত ইসলামী আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসের শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর আমীর শাহজাহান চৌধুরী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের স্লোগান ছিলো ফ্যাসিবাদ, দুর্নীতি, সিন্ডিকেট ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে। আমরা এ আন্দোলনের শাহাদাত বরণকারী সকল ছাত্র-জনতাকে স্মরণ করছি। আল্লাহ তায়ালা শহিদদের কবুল করুন।
শাহজাহান চৌধুরী বলেন, আগামী এক মাসের মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতা-পাতিনেতাদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। অস্ত্র উদ্ধারের অন্তর্বর্তী সরকারকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। মানবতা বিরোধী অপরাধের জন্য আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিচার দাবি করে তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদেরসহ উপজেলা পর্যায়ে নেতাদেরও ফাঁসির কাষ্ঠে বিচার করতে হবে।
জামায়াতের এ আমীর আরও বলেন, ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা এদেশের নাগরিক, কেউ যদি তাদের দিকে চোখ রাঙিয়ে তাকালে আমরা সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিরোধ করবো।
তিনি বলেন, আমরা স্বাধীনতা বিরোধী নই, জঙ্গি নই, সন্ত্রাসী নই, মৌলবাদী নই। আমাদের পাকিস্তান আমলেও নিষিদ্ধ করেছিল, এরপর আরও বহুবার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সর্বশেষ ৩১ জুলাই ফ্যাসিষ্ট হাসিনা নিষিদ্ধ করেছিলো। আল্লাহর ইচ্ছায় ৫ দিন পর আওয়ামী লীগকে এদেশের ছাত্র-জনতা নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। দেশের সমস্ত মানুষ আমাদের দিকে তাকিয়ে আছেন। হালুয়া রুটি ভাগাভাগি বা দুনিয়াবি স্বার্থের জন্য জামায়াতে ইসলামী রাজনীতি করে না। আমরা দ্বীনকে কায়েমের জন্য কাজ করি। এটি আন্তর্জাতিক একটি সংগঠন। তাই কোনো প্রকার চাঁদাবাজি, দখল-বেদখলকে প্রশ্রয় দেবো না।
উপজেলা জামায়াত ইসলামীর আমীর ডা. খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মো. ইমাম উদ্দিন ইয়াছিনের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, দক্ষিণ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মো. বদরুল, সহ সেক্রেটারি মো. জাকারিয়া, সাবেক আমীর অধ্যাপক জাফর ছাদেক, বোয়ালখালীর নায়েবে আমীর ডা. আবু নাছের, পৌরসভা জামায়াতের আমীর মো. হারুন, জামায়াত নেতা অধ্যাপক শওকত ওসমান চৌধুরী সাইদুল আলম ও রফিকুল ইসলাম খসরু।