আরিফুল ইসলাম রিফাত, লোহাগাড়া »
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার অস্থায়ী পশুর হাটগুলো এখনও জমে উঠেনি। হাটগুলোতে পর্যাপ্ত পশু আসলেও ক্রেতা কম হওয়াতে এখনও বিক্রি কম হচ্ছে বলে জানান বিক্রেতারা। তবে এ উপজেলায় প্রতিবছর একটু দেরিতেই কোরবানি পশুর হাট জমে বলে জানান স্থানীয়রা।
এরই মধ্যে অনেকেই কোরবানি পশু কিনে ঘরে তুলেছেন। তবে এখনও পর্যন্ত সিংহভাগ লোক পশু কিনেননি। হাটগুলোতে মানুষের ভিড় থাকলেও বেচাকেনা জমেনি।
গত কয়েকদিন ধরে উপজেলার কয়েকটি পশুর হাটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রত্যেকটি পশুর হাটে চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত পরিমাণ দেশীয় গরু নিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা।পাশাপাশি মহিষ,ছাগলও ছিল পর্যাপ্ত পরিমাণে।তবে সেই অনুযায়ী বিক্রি হয়নি। শনিবার উপজেলার আধুনগর হাট, রোববার বড়হাতিয়া মগদীঘি, পদুয়া ও এম চর হাটে বেচাকেনা জমেনি।তবে দুই পশুর হাটের তুলনায় সোমবার চুনতি ডাকবাংলো পশুর হাটে কিছুটা বেচাকেনা হয়েছে।প্রত্যেকটি অস্থায়ী পশুর হাটে পর্যাপ্ত পরিমাণে গরু, মহিষ, ছাগল নিয়ে এসেছিলেন গ্রাম্য বিক্রেতারা।
ডাকবাংলো পশুর হাটে কথা হয় আবদুল মজিদের সাথে। তিনি বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর গরুর দাম বেশি। তবে এখন দাম দেখতে আসছি। গরু কিনব কোরবানের আগের দিন।
পশুর হাটের ইজারাদাররা জানান, হাটে পর্যাপ্ত কোরবানির গরু-ছাগল উঠলেও ক্রেতার সংখ্যা কম। এ কারণে দাম ও বিক্রি কিছুটা কম। তবে পরের হাটগুলোতে সঠিক দামে পশু বিক্রি বাড়বে।
লোহাগাড়া থানার ওসি জাকের হোসাইন মাহমুদ বাংলাধারাকে বলেন, পশুর হাটে চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারী রোধে পুলিশের একটি টিম দায়িত্ব পালন করছে যাতে ক্রেতা-বিক্রেতারা নির্ভয়ে পশু বেচা-কেনা করতে পারেন।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম/এএ