ksrm-ads

১৯ এপ্রিল ২০২৫

ksrm-ads

রাঙ্গুনিয়ায় ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি »

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূ ধর্ষণ ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ৭২ বয়সী মহিলাকে বিবস্ত্র করে বর্বরোচিত নির্যাতনসহ দেশব্যাপী গণধর্ষণ ও নারী নির্যাতনে প্রতিবাদে সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে রাঙ্গুনিয়া সম্মিলিত সামাজিক ও সেচ্ছাসেবী সংগঠন।

বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) সকাল ১১টায় উপজেলার ইছাখালী সদরে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সামাজিক সম্মিলিত ও সেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক এম আর মামুনুল হকের সভাপতিত্বে ও রবিউল হোসেন এবং শহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, রাঙ্গুনিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ আবু সায়েম, রাঙ্গুনিয়া ব্লাড ডোনেশন গ্রুপ সভাপতি হাবিবুর রহমান, সরোয়ার আলম, ইঞ্জিঃ রানা, ইমাম উদ্দিন, আবু বক্কর সিদ্দিক, ইয়াছিন আরাফাত, রিয়াজুল ইসলাম, শাহজাহান ভূঁইয়া, আব্দুল কাইয়ুম, শরীফ উদ্দিন, আহমদ রায়হান, সুমাইয়া আকতার, শাটমিন আকতার লিজা আকতারসহ বিভিন্ন ব্লাড ডোনেশনও ছাত্র সমাজের নেতৃবৃন্দরা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূ ধর্ষণ ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ৭২ বয়সী এক মহিলাকে বিবস্ত্র করে বর্বরোচিত নির্যাতনসহ দেশব্যাপী গণধর্ষণ ও নারী নির্যাতনে জড়িতদের অনতিবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করতে হবে। দেশে একের পর এক ধর্ষণ ও নারীর প্রতি নিপীড়ন, নির্যাতন বেড়েই চলছে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও আইনি প্রক্রিয়ার দীর্ঘ সূত্রতার কারণে নারীরা আজ ঘরে বাইরে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ধর্ষনকারীরা দেশ ও জাতির শত্রু। তাই ধর্ষনকারীদের গ্রেফতার করে দ্রুত বিচারের আওতায় এনে সর্বোচ্চ বিচারের দাবি জানান। এছাড়াও ধর্ষনকারীদের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদন্ড আইনের দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা।

পরে সেখান থেকে ‘সম্মিলিত সামাজিক ও সেচ্ছাসেবী সংগঠন’ ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে। মানববন্ধনে ও বিক্ষোভ সমাবেশে বিভিন্ন ব্লাড ডোনেশন, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও সাধারন শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত রোববার (৪ অক্টোবর) দুপুরের দিকে ঘটনার ৩২দিন পর ওই গৃহবধূর নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে টনক নড়ে স্থানীয় প্রশাসনের।

বাংলাধারা/এফএস/এএ

আরও পড়ুন