বাংলাধারা ডেস্ক »
নগরীতে ‘লেডি গ্যাং লিডার’ খ্যাত তাহমিনা সিমিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হোসেন মো. রেজার আদালতে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়া বিচারক আগামী ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দিন আহাম্মদ বলেন, পতেঙ্গা থানা পুলিশ অভিযুক্ত তাহমিনা সিমিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে ওয়াসিফা চৌধুরী অর্না নামে এক তরুণী বাদী হয়ে সিমির বিরুদ্ধে পতেঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ৪ মার্চ পতেঙ্গার নেভাল এলাকায় অর্নাকে সিমি ও তার বন্ধু মেহেরুল হাসান মারধর করে। অজ্ঞাতানামা অপর আসামি সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন। যা ১২ মার্চ সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। এতে নিজের সামাজিক মর্যাদাহানি হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করেছেন মামলার বাদী।
জানা যায়, আদালতে সিমির পক্ষে কোন আইনজীবী ছিল না। সিমিও জামিনের জন্য আবেদন করেনি ।
তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা নং- মামলার নং- ১৪(৩)২১ । ফৌজদারি আইনের দণ্ডবিধি ১৪৩/৩২৩/৫০৬ তৎসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫/৩৫ ধারা । জিআর ৫২/২১ এ মামলার প্রধান অভিযুক্ত আসামী তাহমিনা সিমি (১৯) গ্রেফতার হলেও অপর আসামি মেহেরুল হাসান (২০) এখনও গ্রেফতার হয় নি ।
এ বিষয়ে পতেঙ্গা থানার জিআরও প্রকাশ কুসুম বড়ুয়া জানান , সিমির বিরুদ্ধে আগেও ইপিজেড থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা ছিল । যার এফআইআর নং- ২১/১৯৩ । গত ২১/৮/২০২০ সালে পেনাল কোর্টের ১৪৩/৪৪৮/৩২৩/৫০৬ ধারা দণ্ডবিধির এজহারভুক্ত আসামী।
অভিযুক্ত তাহমিনা সিমি চাঁদপুরের কামাল হোসেনের মেয়ে। বর্তমানে নগরীর সি-ম্যান ক্রসিং এলাকায় তিনি থাকেন। চট্টগ্রামে ‘গ্যাং কালচার’ চর্চার অভিযোগ সিমির বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের। এমন একটি ঘটনায় ২০২০ সালেও সিমি পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলেন।
সর্বশেষ ১৩ মার্চ বিকেলে ওয়াসিফা চৌধুরী অর্নার অভিযোগের ভিত্তিতে পতেঙ্গা থানা পুলিশ সিমিকে আটক করে।
বাংলাধারা/এফএস/এআই