দেবাশীষ বড়ুয়া রাজু, বোয়ালখালী »
আমের কলম লাগিয়ে দ্রুত ফলন পাচ্ছেন চাষীরা। অন্যান্য ফল চাষের পাশাপাশি আম চাষে ঝুঁকছে বর্তমান সময়ের যুবকরা। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে তাঁরা লাভবানও হচ্ছেন আম চাষে।
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় দিনদিন বাড়ছে আম বাগান। পুকুর পাড়, পরিত্যক্ত জমি ও পাহাড়ি অঞ্চলে এসব বাগান গড়ছেন চাষীরা।
উপজেলার সারোয়াতলী ইউনিয়নের পূর্ব খিতাপচর গ্রামে তানভীরুল হক ইমন ও সাইদুল হক তুহিন গড়ে তুলেছেন আমের বাগান। চার-পাঁচ ফুট উচ্চতার ৭০০টি আমগাছ রয়েছে তাঁদের বাগানে। ফলনও ভালো হয়েছে এবার।

দ্রুত ফলন পেতে বারি-৪, বারি-৩, থাইল্যান্ডের কাটিমন ও কিউজাই জাতের আমের কলম লাগিয়েছিলেন তাঁরা। বারোমাসী আমও রয়েছে এ বাগানে।
তানভীরুল হক জানান, ২০১৯ সালে ছোট পরিসরে নিজেদের ৫০ শতক জমির উপর বাগান গড়া শুরু করেন। পরবর্তীতে কৃষি অধিদপ্তরের পরামর্শে এক একর জায়গায় লাগিয়েছেন বারি-৪ জাতের ৩০০টি আম গাছ। এছাড়া লাগিয়েছেন বারোমাসী আমের ৪শ কলম চারা।
তানভীরুল হক বলেন, ‘নার্সারি থেকে কলম চারা সংগ্রহ করে মিশ্র ফলের বাগান গড়ে তুলেছি। এখন বাগানে আম, বারোমাসী আম, পেয়ারা, মাল্টা, কুল, নারিকেলসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলের গাছ রয়েছে। যার ফলন বিক্রি করে প্রতি মাসে প্রায় লাখ টাকা আয় হয়।’
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানিয়েছে, চলতি বছরে বোয়ালখালীতে আমের ফলন ভালো হয়েছে। উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে আমের বাগান রয়েছে ৩০টি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আতিক উল্লাহ বলেন, বোয়ালখালী স্মলহোল্ডার এগ্রিকালচারাল কম্পিটিটিভনেস প্রজেক্ট (এসএসিপি) এর আওতায় ২৫-৩০টি আম বাগান প্রদর্শনী করা হয়েছে। এছাড়া ব্যক্তি উদ্যোগেও আম বাগান গড়ে উঠছে।
তিনি আরও বলেন, আমের কলম রোপণের ২-৩ বছরের মধ্যেই ফল পাওয়া যায়। ফলে বাণিজ্যিকভাবে আম চাষে ঝুঁকছেন চাষীরা। কৃষকদের আমসহ মিশ্রফল চাষে সরকারিভাবে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করছে কৃষি অধিদপ্তর।













