কক্সবাজার প্রতিনিধি »
পর্যটন নগরী কক্সবাজারে প্রতিদিনই উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এপ্রিলের শুরুতে লকডাউন শুরুর পর কড়াকড়িতে জন চলাচল নিয়ন্ত্রিত থাকায় করোনার প্রাদূর্ভাব কমই ছিল। কিন্তু মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে এসে করোনা সংক্রমণ জেঁকে বসেছে।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থাপিত পিসিআর (পলিমারি চেইন রি-এ্যাকশন) ল্যাবে পরীক্ষার সুযোগ সৃষ্টির পরই জানা গেছে, কক্সবাজারে করোনা কি রকম বিস্তার শুরু করেছে। রোগীর ক্রম অনুসারে কক্সবাজার সদর ও চকরিয়ায় করোনার প্রাদুর্ভাব বেশিই সনাক্ত হচ্ছে। পরীক্ষার গতি বাড়াতে চকরিয়ার ডুলাহাজারা মালুমঘাট খ্রীষ্টান মেমোরিয়াল হাসপাতালে নতুন ল্যাব বসানোর উদ্যোগ চলছে। ঠিক সেই সময়ে বৃহস্পতি ও শুক্রবার কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের পিসিআর মেশিন দু’দিন বন্ধ থাকার কথা বলা হয়েছে।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. অনুপম বডুয়া জানান, ব্যস্ততম সকল মেশিনারিজ ১৫দিন অন্তর পরিষ্কার হওয়া উচিত এবং পরিস্কারের পর তা কমপক্ষে ৪৮ ঘন্টা রেস্টে থাকা দরকার। কিন্তু মেডিকেল কলেজ ল্যাবে স্থাপিত পিসিআর মেশিন ২টি এ পর্যন্ত পরিস্কার করাও হয়নি, রেস্টেও রাখা হয়নি। বুধবার (৩ জুন) পিসিআর মেশিনে কারিগরি ত্রুটি দেখা দেয়। ফলে বুধবার মাত্র ৭০টি স্যাম্পল টেস্ট করা হয়। পিসিআর মেশিন ২টি নিয়মিত পরিস্কার ও রেস্টে না রাখলে পুরো মেশিন অচল হয়ে যেতে পারে এবং টেস্টের মান নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে।
অধ্যক্ষ বলেন, কক্সবাজার জেলা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সিদ্ধান্ত ও আইইডিসিআর এর নির্দেশনা সাপেক্ষে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার যথাক্রমে ৪ ও ৫ জুন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবের ২টি পিসিআর মেশিনে স্যাম্পল টেস্ট বন্ধ রেখে পরিস্কার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য অভিজ্ঞ ও টেকনিক্যাল পারসন ইতোমধ্যে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে চলে এসেছে।
অধ্যক্ষ ডা. অনুপম বড়ুয়া আরে বলেন, পিসিআর মেশিনের পরিস্কার করাকালীন সময়ে অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অতি স্বল্প সংখ্যক স্যাম্পল টেস্ট করা হতে পারে। তবে এর পরিমাণ হবে অতি নগন্য। ৪৮ ঘন্টাপর পূর্ণ উদ্যমে আবার পরীক্ষা শুরু করা হবে। তবে, নমুনা সংগ্রহ আগের নিয়মে করে তা সংরক্ষিত রাখা হবপ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম/এএ













