বাংলাধারা প্রতিবেদন »
চট্টগ্রামের কল্পনা কমোডিটিস কোম্পানির এপি-১ ব্র্যান্ডের ঘি এবং চট্টগ্রামের চিটাগাং ফ্লাওয়ার মিলসের এ্যাংকর ব্র্যান্ডের সুজিসহ ১৭ ব্র্যান্ডের পণ্য নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)।
রমজান উপলক্ষে গত দুই মাসে বাজার থেকে ৫২১টি পণ্যের নমুনা সংগ্রহ করে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। এর মধ্যে ২৫৩টি পণ্যের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে মানসম্মত পণ্য ছিল ২৩৬টি। বাকি ১৭ পণ্য ছিল নিম্নমানের। বাকি ২৬৮টি পণ্যের নমুনা নিয়ে পরীক্ষা চলছে বলে জানিয়েছে বিএসটিআই।
নিম্নমানের পণ্যের ব্র্যান্ডগুলোল হল- কক্সবাজারের রিয়াদ সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বঙ্গ ব্র্যান্ডের আয়োডিনযুক্ত লবণ, যশোরের আল আমিন বেকারি অ্যান্ড কনফেকশনারির আল আমিন ব্র্যান্ডের লজেন্স, ঢাকার মি. বেকার অ্যান্ড পেস্ট্রি শপের মি. বেকার ব্র্যান্ডের বিস্কুট, ফরিদপুরের সেফ ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের সাবা ব্র্যান্ডের চিপস (পটেটো), রাজশাহী মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের আর এম ব্র্যান্ডের ঘি, বগুড়ার জিনিয়াস সেফ ফুড অ্যান্ড কনজ্যুমারের জিনিয়াস স্পেশাল ব্র্যান্ডের ঘি, সয়াবিন তেল ও হলুদের গুঁড়া, বগুড়ার সীমা ফ্লাওয়ার মিলস লিমিটেডের সীমা ব্র্যান্ডের সুজি, গাজীপুরের জি এম ফুড প্রোডাক্ট-এর এবি-১ ব্র্যান্ডের বাটার অয়েল ও রাজা ব্র্যান্ডের ঘি, গাজীপুরের শাহ ইন্টারন্যাশনাল ফুড প্রোডাক্ট এর নুরজাহান ব্র্যান্ডের বাটার, শরীয়তপুরের মাদার ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্ট এর বেস্ট-১ ব্র্যান্ডের ঘি, মৌলভীবাজারের শাহী ফুড প্রোডাক্ট-এর শমসের নগর শাহী ব্র্যান্ডের ঘি এবং একটি নাম-ঠিকানাবিহীন ড্রামের খোলা সয়াবিন তেল।
উল্লেখ্য যে, দেশে উৎপাদিত পণ্য ও সেবার মান প্রণয়ন এবং মানোন্নয়নের পাশাপাশি আমদানিকৃত পণ্যের মান সংরক্ষণও বিএসটিআই’র অন্যতম দায়িত্ব। বিএসটিআই’র অন্যতম কাজ হচ্ছে, প্রসেসড ফুড এবং শিল্পজাত পণ্যের মান প্রণয়ন, পরীক্ষণ ও মানসনদ প্রদান। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন সময়ে এসআরও জারির মাধ্যমে ১৮১টি পণ্য বিএসটিআই’র বাধ্যতামূলক মানসনদের আওতাভুক্ত করেছে। এসকল পণ্যের মানসনদ প্রদানের পাশাপাশি ক্রেতা ভোক্তার বৃহত্তর স্বার্থে এ প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করে পণ্য ও সেবার গুণগতমান বজায় রাখতে ভূমিকা পালন করে আসছে।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম













