বাংলাধারা প্রতিবেদন »
চট্টগ্রাম মহানগরীর দামপাড়ায় ১ জন ও সাতকানিয়া উপজেলায় ৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এছাড়া চট্টগ্রাম জেলার বাইরে ৩ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
রোববার (২৬ এপ্রিল) রাতে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আজ বিআইটিআইডিতে ১০১ জনের নমুনা পরীক্ষার মধ্যে ১০ জনের পজেটিভ এসেছে। এ পর্যন্ত মোট ২৫৪২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এদিকে, শনিবার (২৫ এপ্রিল) নগরীর আগ্রাবাদের শান্তিবাগ এলাকায় ১ জন ও হালিশহরের নয়াবাজার এলাকায় ১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) নগরীর দামপাড়ায় আজ নতুন করে ১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। তিনি ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল বলে জানা গেছে। এছাড়া চট্টগ্রাম জেলার বাইরে লক্ষীপুরে ১ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
বৃ্হস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) চট্টগ্রামে কোন করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায় নি। চট্টগ্রাম জেলার বাইরে রামগঞ্জে ১ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
বুধবার (২২ এপ্রিল) চট্টগ্রাম মহানগরীর লালখান বাজারে ১ জন, বালুছড়ায় ১ জন ও ফটিকছড়ি উপজেলায় ১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এছাড়া চট্টগ্রাম জেলার বাইরে লক্ষীপুরে ১ জন করোনা শনাক্ত রোগী পাওয়া যায়।
মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ উপজেলার জোয়ারা গ্রামে ১০ মাস বয়সী ১ শিশু করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এছাড়া চট্টগ্রাম জেলার বাইরে বান্দরবানের থানচিতে ২ জন ও লামায় ১ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
সোমবার (২০ এপ্রিল) চট্টগ্রামে নতুন করে আজ কোন করোনা রোগী শনাক্ত হয় নি। এছাড়া চট্টগ্রাম জেলার বাইরে ফেনীর সোনাগাজীতে ১ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
রোববার (১৯ এপ্রিল) চট্টগ্রামে নতুন করে ৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম জেলার বাইরে আরও ৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
শনিবার (১৮ এপ্রিল) চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম জেলার বাইরে লক্ষীপুরে ৩ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজে (বিআইটিআইডি) আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন থাকা ৬৫ বছর বয়সী এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) নগরীর সড়াইপাড়া এলাকার ১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম জেলার বাইরে জেলায় আরও ১৮ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। তার মধ্যে লক্ষীপুরের ১৭ জন ও ফেনীর ১ জন।
চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিভাগের দেয়া তথ্য অনুয়ায়ী, চট্টগ্রামে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় ৩ এপ্রিল। চট্টগ্রামের দামপাড়ায় ৬৭ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি তার ওমরাফেরত মেয়ের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়েছেন বলে ধারণা করা হয়। পরে ৫ এপ্রিল ওই ব্যক্তির ২৫ বছর বয়সী ছেলের শরীরেও করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। তবে গতকাল নতুন পরীক্ষায় তিনি করোনা নেগেটিভ হয়েছেন।
৮ এপ্রিল চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত হন তিনজন। একদিন বিরতি দিয়ে ১০ এপ্রিল বিআইটিআইডিতে নমুনা পরীক্ষায় আরও দুইজনকে করোনা পজেটিভ পাওয়া যায়। পরে ১১ এপ্রিল চট্টগ্রামে করোনারোগী হিসেবে শনাক্ত হন তিনজন। ১২ এপ্রিল চট্টগ্রামে সে সংখ্যা বেড়ে পাঁচজন করোনারোগী শনাক্ত হয়। আক্রান্তদের একজন শিশু ওইদিন দিবাগত রাতে জেনারেল হাসপাতালে মারা যান। এছাড়া এদিন ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্যও করোনোয় আক্রান্ত হন।
সোমবার (১৩ এপ্রিল) চট্টগ্রামে শনাক্ত হওয়া দুই করোনা রোগীর একজন নারী করোনা শনাক্তের আগেই আইসোলশনে থাকা অবস্থায় মারা যান। মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) চট্টগ্রামে ১১ জন করোনারোগী শনাক্ত হয়। এর মধ্যে এক চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হন।
এই নিয়ে চট্টগ্রামে মৃত্যুবরণ করেছেন ৫ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১২ জন।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম












