২৯ অক্টোবর ২০২৫

জনসংকট নিরসনে প্রশাসনের উদাসীনতা : চালু হয় নি হলিক্রিসেন্ট হাসপাতাল

বাংলাধারা প্রতিবেদন »  

চট্টগ্রামে প্রাইভেট ক্লিনিক এসোসিয়েশনের উদ্যোগ ও অর্থায়নে নগরীর খুলশী এলাকার জাকির হোসেন সড়কের পাশে হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালকে করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য নতুনভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে গতকাল শনিবার (২৫ মার্চ) হাসপাতালটি চালু করার কথা থাকলেও জনবল নিয়োগ নিয়ে প্রশাসনিক টানপোড়েনে তা আর চালু করা সম্ভব হয় নি। এদিকে হাসপাতালটির জনবল সংকট নিরসনে কোন ভূমিকা রাখছে না সিটি করপোরেশন। অন্যদিকে, জনসংকট মোকাবেলায় পরামর্শ না দিয়ে দায়িত্বে থেকে সরকারের অপপ্রচারে ব্যস্ত রয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী।

জনবল সংকট বিষয়ে কোন সাপোর্ট দেয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শাহরিয়ার কবীর সেলিম। তিনি বলেন, ‘আমরা পর্যায়ক্রমে ১২টি প্রাইভেট হাসপাতাল প্রস্তুত রেখেছিলাম। তারা ওই হাসপাতালগুলোর পরিবর্তে হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালটি প্রস্তুত করে দেবেন বলে কথা দেন। এখন তারা জনবল চাচ্ছে। আমরা তাদের ছাড় দিয়ে এ হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালটির কথা বিবেচনায় রেখেছিলাম। এখন তাদের অন্য কোন সাপোর্ট দেয়া হবে না। তারা হাসপাতালটি পরিপূর্ণ তৈরি করেই আমাদের দেবেন।’

এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কল রিসিভ করেন নি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

এদিকে, সরকারকে দোষারপ করে বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (বিএমএ) চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী বলেন, ‘সরকার এখনও প্রোপারলি ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রোটেক্টিভ ইকুপমেন্ট দিতে পারছেন না। সরকারিভাবে দেয়া হলেও সরকারের সাপ্লাই চেইন এখানে কারচুপি করছেন। কর্তব্যরত অনেক চিকিৎসক ইতোমধ্যেই কারোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও সরকার প্রণোদনা দিবেন শুধুমাত্র সরকারি ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের। প্রাইভেট ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীরা কোন প্রণোদনা পাবেন না। তাই তাদের যাওয়ার আগ্রহও কম। অন্যদিকে তাদের পরিবারও তাদের এই দায়িত্বে যেতে দিতে চান না। তাই জনবল নিয়ে সরকারিভাবে সিদ্ধাস্ত নিতে হবে। সরকার চাইলে উপজেলা পর্যায়ের ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের হাসপাতালে নিয়োগ দিতে পারেন।’

উল্লেখ্য, নগরীর জাকির হোসেন সড়কের পাশে খুলশী এলাকায় প্রাথমিকভাবে ৫০টি আইসোলেশন কেবিন, ২০টি ভেন্টিলেটর, ১০টি এইচ,ডি,ইউ সহ মোট ১০০ শয্যার হাসপাতালটি চালু করার কথা রয়েছে। এটি ব্যবহার উপযোগী করতে প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বাংলাধারা/এফএস/টিএম

আরও পড়ুন