কক্সবাজার প্রতিনিধি »
কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চাকমারকুল রইক্ষ্যং পুঁটিবনিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকান্ডে লার্নিং সেন্টার, চাকমা ও রোহিঙ্গাদের বসত-ঘর, দোকান ও ক্লিনিকসহ আনুমানিক ২৫টি স্থাপনা পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। অগ্নিকাণ্ডে শিশুসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আরো প্রায় ডজনাধিক রোহিঙ্গা ঘর।
বুধবার (১ এপ্রিল) বেলা ২টারদিকে হোয়াইক্যং ঊনছিপ্রাংয়ের ২২নং রইক্ষ্যং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রেলিগেশন-১ পয়েন্ট এলাকায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও রোহিঙ্গারা জানান, পুটিবনিয়া রোহিঙ্গা শিবিরের পশ্চিম ব্লকে একটি লার্নিং সেন্টার থেকে হঠাৎ আগুনের শিখা বের হয়। আগুনটি দ্রুত ব্লকে ছড়িয়ে পড়ে। একটার সাথে একটা লাগোয়া ঘর হওয়ায় মুহূর্তে সব ঘরে আগুন লেগে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস এলে উপস্থিত রোহিঙ্গা, চাকমা গোষ্ঠী এবং ক্যাম্প প্রশাসনের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পূর্বেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত আইআরসি হাসপাতাল, মুক্তি ও কোডেক পরিচালিত ৬টি লার্নিং সেন্টার, ৭টি চাকমা ঘর ও ৯টি রোহিঙ্গা বসতি, ২টি দোকান পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়।

‘এছাড়া আগুন থেকে রক্ষার উদ্দেশ্যে লাগানো ১০টি রোহিঙ্গার ঘর ভেঙ্গে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এসময় ৬ বছরের এক শিশুসহ বয়োবৃদ্ধ বেশ কয়েকজন আহত হন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’
হোয়াইক্যং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান মো. রফিক বলেন, ২০১৭ সালে ২৫ আগস্ট মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসাদের মাছঝ এখানে বসতি গড়েছে প্রায় ২০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা। হঠাৎ আগুনে ক্যাম্পের স্কুলসহ ২৫টি মতো ঘরে পুড়ে গেছে। তার মধ্যে স্থানীয় চাকমাদেরও কয়েকটি ঘর রয়েছে। আল্লাহ রক্ষা করেছেন, আগুনের তিব্রতা আরো কিছুক্ষণ থাকলে শতাধিক ঘর আগুনের লেলিহান শিখা থেকে বাঁচানো কষ্টসাধ্য হতো।
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়। রোহিঙ্গাদের লার্নিং সেন্টারসহ বেশকিছু ঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এর মধ্যে কিছু স্থানীয় চাকমাদের ঘরও রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে নগদ ১ হাজার টাকা করে অনুদান দেয়া হয়েছে।আগুনের সুত্রপাত এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।খবর পেয়ে ক্যাম্পে নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়োজিত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসহ বিভিন্ন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের অন্যত্র থাকার ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে। পুড়ে যাওয়া ঘরগুলো পুনরায় নির্মাণ করে দেয়া হবে। রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম/এএ













