২৯ অক্টোবর ২০২৫

সিএমপি কমিশনারের অভিনব উদ্যোগ রুখে দিল বড় বিপর্যয়

বাংলাধারা প্রতিবেদন »  

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে রাত দিন মাঠে কাজ করছে সিএমপির ৭ হাজার সদস্য। করোনার ঝুঁকি এড়াতে এবার এক ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মাহাবুবর রহমান। দামপাড়া পুলিশ লাইন্সে ৪৫ বছরের বেশি বয়সী সকল সদস্যের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করেন। শেষমেষ এক পুলিশ সদস্যের শরীরে পরীক্ষা শেষে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। অথচ তার শরীরে করোনার কোন লক্ষণই ছিল না। সাথে সাথে লকডাউন করা হয় ২০০ সদস্যের একটি ব্যারাক।

জানা যায়, পুলিশ সদস্যদের স্বাস্হ্য পরীক্ষা করার সময় বিশেষ করে হার্টের সমস্যা ও ডায়াবেটিসকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিল। এভাবে অনেকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ট্রাফিক উত্তর জোনে কর্মরত পঞ্চাশোর্ধ্ব ওই সদস্যের শরীরে সমস্যা চিহ্নিত হয় থার্মাল স্ক্যানারে। তাকে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ লাইন্সের বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

পরবর্তীতে নিয়মমাফিক ফৌজদারহাট বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে তার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। চিকিৎসকদের ধারণাকে সত্য প্রমাণ করে ১২ এপ্রিল তার করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসে। ওই রাতেই তাকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। সঙ্গে সঙ্গেই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে তার সংস্পর্শে আসা তিনজন চিকিৎসক, তিনজন নার্স, সাতজন আয়া-বয় এবং পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১২ জন পুলিশ সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। লকডাউন করা হয় ২০০ সদস্যের একটি ব্যারাকও।

সিএমপি কমিশনার মাহাবুবর রহমান বলেন, ‘সিএমপি পরিবারের অভিভাবক হিসেবে আমি উদ্যোগটা নিয়েছি। সিএমপির প্রতিটি সদস্যকে ঝুঁকিমুক্ত রাখা আমার দায়িত্ব। কতটুকু রক্ষা করতে পেরেছি সেটা জানি না। তবে এটা সত্য করোনা আক্রান্তরা যদি নিজেদের অজান্তে অন্য ফোর্সদের সাথে আগের মতো স্বাভাবিক মেলামেশা করতো, পরিস্থিতিটা অনেক ভয়াবহ হতে পারতো। দোয়া করবেন সিএমপি পরিবার যেন এই মহামারি থেকে সুরক্ষিত থাকে। পাশাপাশি নগরবাসীও যেন নিরাপদ থাকে।’

বাংলাধারা/এফএস/টিএম

আরও পড়ুন