২৮ অক্টোবর ২০২৫

৪৮ ঘন্টা পরও জলাবদ্ধতা—চরম দুর্ভোগে নগরবাসী

কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে তলিয়ে গেছে চট্টগ্রাম নগরীর নিচু এলাকাগুলো। বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে এসব এলাকার রাস্তাঘাট, দোকানপাট ও বসতঘর পানিতে থৈ থৈ করছে। ফলে পানি জমে সৃষ্ট এই জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগে পথচারী থেকে শুরু করে এলাকার সর্বস্তরের মানুষ।

নগরের দুই নম্বর গেট, বহদ্দারহাট, চকবাজার, বাদুরতলা, ডিসি সড়ক সংলগ্ন এলাকার বসতবাড়িগুলোতে এখনও কোথাও কোমর এবং কোথাও হাঁটুপানি জমে আছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়তে দেখা যায় স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা ছাড়াও অফিসগামী বিভিন্ন পেশাজীবী, পথচারী এবং ব্যবসায়ীরা।

চকবাজার খালপাড় এলাকার ব্যবসায়ীরা জানান, এলাকাটির জলাবদ্ধতার করুণ চিত্র গত এক দশকের বেশি সময় ধরে হলেও গেল ৫ থেকে ৭ বছরে তা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। প্রতি বছরই বাড়ছে পানির উচ্চতা। অনেকক্ষেত্রে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, দোকান, মার্কেট, ঘরবাড়িতে জমে থাকা পানি বের করতে হচ্ছে পাম্প দিয়ে।

চকবাজার ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অনেকেই দোকানে তালা ঝুলিয়ে চলে গেছেন। যারা এসেছেন তারা ব্যস্ত আছেন জোয়ারের পানি নিষ্কাশনে। ব্যবসায়ীরা পানির পাম্প, বালতি ও মগ দিয়ে পানি সেচ দিচ্ছেন। গত দু’দিন ধরে ময়লা পানির সঙ্গে বিভিন্ন গলির মোড়ে জমে আছে ময়লা-আর্বজনার স্তূপ।

চকবাজার খালপাড় এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা ইদ্রিস মিয়া বাংলাধারাকে জানান, শুক্রবার মধ্যরাত থেকে থেকে আমার ৬টি (সেমিপাকা) ভাড়া ঘরে পানি জমে আছে। এতে আমার ভাড়াটিয়ারা চরম দুর্ভোগে পড়েছে।

একই এলাকার কলেজ ছাত্রী মরিয়ম আক্তার বলেন, পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা থাকার কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার খাল ও নালা-নর্দমা নিয়মিত পরিষ্কার করা হচ্ছে না, ফলে বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট ও বসতবাড়িগুলোতে জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে।
চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনে কয়েক বছর ধরে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাজ চলমান থাকলেও তার সুফল পাচ্ছে না নগরবাসী।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে জলাবদ্ধতা নিরসনে ৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে কাজ শুরু করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও এখনও কাজ শেষ করতে পারেনি সিডিএ। নতুন করে আরও এক বছর সময় বাড়ানো হয়েছে।

এসআরটি/এআই

আরও পড়ুন