২৮ অক্টোবর ২০২৫

বড় গাছ কেটে নিয়ে চারা গাছে আগুন

কক্সবাজার প্রতিনিধি »

কক্সবাজারের চকরিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতির সামাজিক বনায়নে করাত দিয়ে গাছ কেটে লুটপাট, আগুন দিয়ে সহস্রাধিক চারা গাছ পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি পাহাড় কেটে সাবাড় করেছে দুর্বৃত্তরা। এতেও ক্ষান্ত না হয়ে বাগান মালিককে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকিও দিয়েছে তারা। রোববার (২২ জানুয়ারি) রাত ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত এ তাণ্ডব চলে। মধ্যরাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় সোমবার (২৩ জানুয়ারি) চকরিয়া থানায় মামলা হয়েছে। উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সাইনবোর্ড পাহাড়ের সামাজিক বনায়নে এ দুর্বৃত্তায়নের ঘটনা ঘটে।

এঘটনায় চকরিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সামাজিক বনায়নের মালিক এম. জাহেদ চৌধুরী বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় জমা দেয়া এজাহারে ১১ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতসহ ৪১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

মামলার বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, ২০০৭-০৮ সালে বন মন্ত্রণালয় আধা হেক্টর (সোয়া তিন কানি) সামাজিক বনায়নের প্লট বাগান করার জন্য লিজ হিসেবে প্রদান করেন। এরপর থেকে ওই বাগানে আগর, একাশি, অর্জুন, ইউক্লিপটাস, বেলজিয়ামসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগানো হয়।

কিন্তু অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা রোববার রাত ৮টার দিকে আমার বাগানে প্রবেশ করে ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের ৪৬ টি গাছ কেটে নিয়ে যায়। বাগানে আগুন দিয়ে ২ লাখ টাকা মূল্যের সহস্রাধিক চারা গাছ পুড়িয়ে পেলে। পাহাড় কেটে আরো লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি করেছে।

বাদী জাহেদ চৌধুরী আরো বলেন, এ ঘটনায় চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ চন্দন কুমার চক্রবর্তীর নির্দেশে রোববার রাতে এএসআই জাহাঙ্গীর আলম ও সোমবার সন্ধ্যায় এসআই মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের পৃথক দৃটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এছাড়াও বিস্তারিত ঘটনা চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন সংরক্ষক বিপুল কৃষ্ণ দাশ ও কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন সরকারকে অবহিত করা হয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জেরে দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি তার।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন সংরক্ষক বিপুল কৃষ্ণ দাশ বলেন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কক্সবাজারের বিভাগীয় কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছি।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, ঘটনার খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় জড়িতদের আটক করতে অভিযান চলছে।

আরও পড়ুন