চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় যুবলীগ নেতা মঞ্জুরুল ইসলাম হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ এজহারনামীয় ৩ আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্যপ্রযুুক্তির সহায়তায় কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে মঈন উদ্দিন প্রকাশ মঈনু (৪৫) ও হাটহাজারী থানার আব্বাছিয়া পুল এলাকা থেকে মো. আল-আমিন সাগর (৩০) এবং নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকা থেকে মো. ওবায়দুল কাদেরকে (৩৮) গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, রাঙ্গুনিয়া থানার মুরাদনগর এলাকার মৃত নুর মোহাম্মদ খানের ছেলে খান মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন, একই থানার সৈয়দ বাড়ির মৃত রমজান আলী মিন্টু সওদাগরের ছেলে মো. আল-আমিন সাগর ও মুরাদ নগর পাঠান পাড়ার মো.নবীর হোসেন বাচা মিয়ার ছেলে মো.ওবায়দুল কাদের প্রকাশ ওবায়দুল্লা সুমন।
মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম বালু ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন। আসামিদের সাথে তার বালুমহাল নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। বিরোধের জেরে আসামিরা একাধিকবার মঞ্জুরুল ইসলামকে মারধর করাসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়। সর্বশেষ গত ৮ অক্টোবর বিকেলে আসামিরা তাকে ধাওয়া করে বালুর মাঠেই এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ও আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে পায়ের ওপরের অংশে ও নিম্নাংশে একাধিক গুলি করে গুরুতর জখম করে। ভিকটিমের সঙ্গে থাকা মো. সেকান্দরকেও মারধর করে জখম করে। এসময় তাদের আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মঞ্জুুরুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মো. নূরুল আবছার বলেন, রাঙ্গুনিয়ায় যুবলীগ নেতা হত্যার ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে রাঙ্গুনিয়া থানায় ৪ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার ছায়া তদন্তে নেমে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের জড়িত থাকার প্রমান পেয়ে প্রধান আসামিসহ ৩ জনকে আটক করা হয়।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামিরা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। মামলার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে গ্রেফতার এড়াতে বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করেছিল বলেও স্বীকার করে তারা।
পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রেফতারকৃতদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলার এজাহারনামীয় অন্যান্য পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।
