অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কক্সবাজার-১ (চকরিয়া পেকুয়া) আসনে প্রচারণায় হঠাৎ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। আসনে প্রতিদ্বন্ধিতায় থাকা কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলমের কর্মী-সমর্থকের মাঝে গত কয়েকদিন ধরে প্রচারণায় স্নায়ুযুদ্ধ চলছিল। এর ধারাবাহিকতায় কল্যাণ পার্টির প্রার্থীর অফিসের পাশে জনসভার ডাক দেয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বাড়িয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলম। এ অবস্থায় উত্তেজনা কমাতে জাফর আলমের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সহকারী রিটার্নিং অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কল্যাণ পার্টির প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, পেকুয়ার বদরখালী বাজার এলাকায় হাতঘড়ি প্রতিকের নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন করেন তিনি। তার কার্যালয়ের মাত্র ১০০ গজের মধ্যে ২৯ ডিসেম্বর জনসভার ডাকা দেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলম। এতে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে জাফর আলমের জনসভা বন্ধ রাখা জরুরী। অন্যথায় পুরো উপজেলায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ইবরাহিম বলেন, পেকুয়ার বদরখালী বাজারস্থ সোনালী ব্যাংক কার্যালয়ের পাশে নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন করেছি। এরপর থেকে ট্রাক প্রতীকের সমর্থকরা বিভিন্ন উস্কানী দিয়ে আসছে। এরই মধ্যে আমার অফিসের মাত্র ১০০ গজ দুরুত্বের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলম জনসভার ঘোষনা দিলে চারদিকে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। জাফর আলমের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমি সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমি চাই নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হউক।
জানতে চাইলে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, একটা অভিযোগ অফিসে দেয়া হয়েছে বলে জেনেছি। কিন্তু নির্বাচনী একটি মিটিংয়ে থাকায় সেখানে কিলেখা হয়েছে দেখতে পারিনি। অফিসে গেলে বিস্তারিত জানাতে পারবো।
তবে, অভিযোগটি সত্য নয় দাবি করে স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম বলেন, আমার কর্মী-সমর্থকদের মাঝে ভীতি সঞ্চার করতেই এসব মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে। আমিও চাই সৃন্দর সহাবস্থানে নির্বাচন সম্পন্ন হউক।
