ভোলায় রওশন আরার হত্যা ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও প্রকৃত খুনিদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও পথসভা করেছে ছেলে-মেয়ে, এলাকাবাসী এবং স্বজনরা।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় ভোলা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারস ফোরাম (এইচ.আর.ডি.এফ) এর আয়োজনে এই মানববন্ধন ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়
ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন ও পথসভায় ভোলার লালমোহনে রওশন আরা হত্যার রহস্য উদঘাটন ও দৌলতখানে কলেজ শিক্ষার্থী রাব্বি হত্যার বিচারসহ সকল হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।
ভোলার লালমোহন উপজেলার কালমা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ফজলে করিম মেম্বার বাড়ির শাহজাহান মিয়ার স্ত্রী গতবছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিখোঁজ হন। নিখোঁজের ৬ দিন পর ২৮ ফেব্রুয়ারি বাড়ির সেফটি ট্যাংকের মধ্যে থেকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর ওইদিন রাতেই খুন হওয়া বৃদ্ধার ছেলে শিহাব উদ্দিন লালমোহন থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত পুলিশ এই ঘটনার কোনো প্রমাণ উদঘাটন করতে পারেননি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাজল জানান, রওশন আরা হত্যার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অজ্ঞাতপরিচয় আসামিরা তার মাথায় ভারী কোনো জিনিস দিয়ে আঘাত করেছে। তার মাথা প্রায় ৪ ইঞ্চি পর্যন্ত ফেটে গেছে। মাথার খুলি ভেঙে ভিতরে ডুকে গেছে। এছাড়াও লাশের গলায় মারাত্মক আঘাত রয়েছে। দুর্বৃত্তরা তার মাথায় আঘাত করার পাশাপাশি তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার আলামতও পাওয়া গেছে। তাকে হত্যার পর সেফটি ট্যাংকে লাশ ফেলে দেওয়ায় আসামিদের আঙ্গুলের ছাপ স্পষ্ট করে আসছে না।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আরও জানান, রওশন আরা হত্যার ঘটনাটি খুবই আলোচিত একটি ঘটনা। জেলা পুলিশ সুপার মাহিদুজ্জামানের নির্দেশে গেল কয়েকদিন আগে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের জন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির প্রধান করা হয় ডিবির ইন্সপেক্টর মেজবাহ উদ্দিনকে। পুলিশ আশা করছে, খুব দ্রুতই এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।
ভোলা পুলিশ সুপার মো. মাহিদুজ্জামান জানান, কিছু কিছু হত্যার রহস্য উদঘাটনে বিলম্ব হয়। যার নানান কারণ থাকে। রওশন আরাসহ ভোলায় হত্যা হওয়া সকল ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে মূল আসামিদেরকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করছে।













