জেলা প্রতিনিধি, কক্সবাজার »
‘টান দিলে মাস্ক, চাপ দিলেই সেনিটাইজার, সাথে রয়েছে ব্যবহৃত মাস্কগুলো ফেলার ডাস্টবিন’- অনেকটা এটিএম বুথের মতো সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য ব্যতিক্রমী ‘করোনা প্রতিরোধক বুথ’ নিয়ে এসেছে কক্সবাজার পৌরসভা। হাসপাতালসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও জনগুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে এসব বুথগুলো বসানো হবে বলে জানিয়েছেন পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান। সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রথমবারেরমতো এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগ বলেও উল্লেখ করেন মেয়র।
শুক্রবার (৬ আগষ্ট) দুপুরে কক্সবাজার পৌরসভা প্রাঙ্গণে ‘করোনা প্রতিরোধক বুথ’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মামুনুর রশীদ।
এসময় ডিসি বলেন, গত এক বছর ধরে আমরা অদৃশ্য শক্তি করোনা বিরুদ্ধে লড়াই করছি। এই লড়াইয়ে আমরা জয়ী হবো ইনশাআল্লাহ। তবে, করোনা থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই। ঘরেই থাকুন, বিশেষ প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করুন। সাবান-হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত পরিষ্কার করুন। ব্যাবহার করুন হ্যান্ড স্যানিটাইজার। সাথে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখারও আহবান জানান জেলা প্রশাসক।
পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, কক্সবাজারে প্রতিনিয়ত করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঝরে পড়ছে অনেক তাজা প্রাণ। এমন কঠিন পরিস্থিতিতেও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে পরিকল্পিতভাবে নানা সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে কক্সবাজার পৌরসভা। পাশাপাশি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ও করোনায় কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় পৌরবাসীর মাঝে প্রতিদিন বিতরণ করা হচ্ছে সরকারি সহায়তা। সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য সচেতন করতে এবার পৌরবাসীর জন্য জেলায় প্রথমবারের মতো আনা হয়েছে ‘করোনা প্রতিরোধক বুথ’। পাইলট প্রকল্প হিসেবে প্রাথমিকভাবে ১০টি ‘করোনা প্রতিরোধক বুথ’ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হবে। জনসচেতনতা বাড়লে পর্যায়ক্রমে বুথের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে বলে উল্লেখ করেন মেয়র।
এসময় কক্সবাজার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম তারিকুল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিন আল পারভেজ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নু এমং মারমা, কাউন্সিলর আকতার কামাল, কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নুরুল আলম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার টিটন দাশ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলম ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আহসান সুমনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাধারা/এফএস/এআই
