ksrm-ads

১৯ এপ্রিল ২০২৫

ksrm-ads

আইএনজিও এসিএফ’র হয়ে মাতারবাড়িতে কাজ করা ৯ রোহিঙ্গা আটক

কক্সবাজার প্রতিনিধি  »

আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা (আইএনজিও) এসিএফ’র অধীনে কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়িতে গোপনে কাজ করা ৯ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে জনতা। আটক রোহিঙ্গারা ‘আলী কন্সটাকশন’ নামে এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে কাজ করছিলেন। শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মাতারবাড়ি নতুন বাজার ও বাংলাবাজার থেকে তাদের আটক করে স্থানীয়রা গ্রাম পুলিশের সহয়তায় মাতারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদে হস্তান্তর করেন বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ।

আটকরা হলেন, উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্প-৮-ই’র হামিদ হোসেনের ছেলে নজিম উল্লাহ (২৩), একই ক্যাম্পের আবুল হোসেনের ছেলে লাল মোহাম্মদ (২৭), বালুখালী ৯ এফ-টুর আবদুল করিমের ছেলে এরশাদুল্লাহ (২৮), ক্যাম্প-৩ জি ১৬ কুতুপালংয়ের আব্দুল আমিনের ছেলে কেফায়েত উল্লাহ(৩০), বালুখালী ৯ এফ- ২’র কালামিয়ার ছেলো খায়রুল আমিন (২৫), লালু মিয়ার ছেলে জিয়াবুল হোসেন(১৬), হামিদ হোসেনের ছেলে জাফর উল্লাহ (২১), নুর আলমের ছেলে আহমদ (২৬) ও এইচ ব্লকের আলী বকসুর ছেলে হামিদ হোসেন(৫৫)।

সূত্র জানায়, আর্ন্তজাতিক এনজিও সস্থা এসিএফ এর ওয়াশ প্রজেক্টে প্রায় দুই মাস ধরে গোপনে কাজ করছিল এসব রোহিঙ্গারা। বিষয়টি সম্পূর্ণ গোপন রেখে কাজ করাচ্ছিলো মেসার্স আলী কন্সটাকশন নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

তবে, অভিযুক্ত মেসার্স আলী কন্সটাকশনের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ আলীর রোহিঙ্গাদের বিষয়ে কোন তথ্য ছিল না বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।

এ বিষয়ে এসিএফ এর ম্যানেজার লজষ্টিক দিদারুল ইসলাম ও রাকিবুল আরেফিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা দুজনেই কিছু জানে না দাবি করে একজন আরেকজনকে দোষারোপ করে লাইন কেটে দেন।

মাতারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ উল্লাহ জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে চৌকিদার ও স্থানীয় সংবাদকর্মী রকিয়তের সহযোগিতায় তাদেরকে আটক করতে সক্ষম হয়। এছাড়া ঘটনার পর এসিএফে কর্মরত ৪জন বাঙ্গালি কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় পাঠানো হয়েছে। আটক রোহিঙ্গাকে মাতারবাড়ি পুলিশ ক্যাম্পে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মহেশখালী উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহাফুজুর রহমান বলেন, আটক ৯ রোহিঙ্গাকে পুলিশে হস্তান্তর করতে মাতারবাড়ি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রোহিঙ্গাদের এভাবে চাকরি করানোর পিছনে কে বা কারা জড়িত সে বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জড়িতদের সনাক্তের পর আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলাধারা/এফএস/এআর

আরও পড়ুন