বাংলাধারা ডেস্ক »
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় কারাবন্দি সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেছেন চট্টগ্রামের আদালত।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. জেবুন নেসার আদালত শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। যদিও স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় বাবুল আক্তার বর্তমানে ফেনী কারাগারে রয়েছেন।
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা গত বছরের ১৯ অক্টোবর নগরের খুলশী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে এ মামলাটি করেন। মামলায় বাবুল ছাড়াও ইলিয়াস হোসাইন, বাবুলের ভাই হাবিবুর রহমান ও বাবা ওয়াদুদ মিয়াকে আসামি করা হয়। একই মামলায় গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবিরের আদালত বাবুল আক্তারের বাবা ও ভাইকে জামিন দেন।
বাবুল আক্তারের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পিবিআইয়ের এসপি নাইমা সুলতানার করা মামলায় জামিন আবেদন করলে আদালত তা না মঞ্জুর করেন। আমরা আদেশের অনুলিপি পাওয়ার পর উচ্চ আদালতে যাব।’
মামলায় বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা খানম হত্যা মামলা নিয়ে মিথ্যা-অসত্য তথ্য সরবরাহ-প্রচারের অভিযোগ এনে আসামিদের বিরুদ্ধে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার ধানমন্ডি থানায় আরেকটি মামলা করেন পিবিআইপ্রধান বনজ কুমার মজুমদার।
পিবিআই বলছে, মাহমুদা হত্যা মামলা নিয়ে আসামিরা ফেসবুক-ইউটিউবে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন। এতে পিবিআই ও সংস্থাপ্রধানের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। বাবুল, হাবিবুর ও ওয়াদুদের যোগসাজশে বিদেশে থাকা ইলিয়াস মিথ্যা তথ্য প্রচার করেন। ইলিয়াসের ভিডিও প্রকাশের পর পিবিআইপ্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করেছিলেন বাবুল। তবে তাঁর আবেদন খারিজ করে দেন আদালত।
২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে গিয়ে গুলি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা। এই মামলায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর বাবুলসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পিবিআই।