১১ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৬ ফুট উচ্চতার হালকা সাদা-কালো রঙের সুঠাম দেহের ষাঁড়টির ওজন ৩০ মণ অর্থাৎ ১২০০ কেজি। মালিক শখ করে নাম রেখেছেন ‘সম্রাট’। চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে ‘ সম্রাট ‘ এবারের কোরবানির হাট কাঁপাবে বলে আশা করছেন বার আউলিয়া এ্যাগ্রো ট্রেডার্স এর স্বত্বাধিকারী ষাঁড়টির মালিক মো. ইউছুপ।
বোয়ালখালী উপজেলার শ্রীপুর খরণদ্বীপ ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড এলাকার যুবলীগ নেতা মো. ইউছুপ পেশায় একজন ব্যবসায়ী। দেশীয় পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক খাবারে নিজের খামারে সম্রাটসহ অন্তত: ৫০টি গরু লালন পালন করেছেন। এর মধ্যে সম্রাটই সবচাইতে বড়। বর্তমানে সম্রাটের দাম হাঁকাচ্ছেন ১৫ লাখ টাকা।
ইউছুপ বলেন, দেড় বছর আগে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে হলেষ্টান ফ্রিজিয়ান জাতের গরুটি ক্রয় করেন তিনি। গরুটির স্বভাবসুলভ আচরণে মুগ্ধ হয়ে শখ করে নাম রেখেছেন ‘সম্রাট’। সম্রাটকে সম্রাটের মতই লালন পালন করেছেন তিনি। বিশাল আকৃতির ষাঁড়টি দেখার জন্য প্রতিদিন তার খামারে মানুষ ভিড় করছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ষাঁড়টি খামার থেকে বের করতে ৪ থেকে ৫জন লোকের প্রয়োজন হয়।তার স্বভাব শান্ত প্রকৃতির হলেও মাঝে মাঝে চড়া হয়ে উঠে। হাটে আনা-নেওয়া করা কষ্টকর, তাই খামার থেকেই সম্রাটকে বিক্রি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইউছুপ বলেন সম্রাটকে দেশীয় পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে লালন পালন করেছেন।
খাবারের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য শুকনো খড়, কাঁচা ঘাস, কুড়া, ভুষি, ভুট্টার আটা, খুদের ভাত, খৈল, ও চিটা গুড়। এছাড়া মাঝে মাঝে কলা, গাজর, আপেলসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফলও খাওয়ানো হয়। থাকার জায়গায় ২৪ ঘন্টা ফ্যান দেওয়া রয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকলে জেনারেটর ব্যবহার করতে হয়। প্রতিদিন তিন থেকে চারবার গোসল করাতে হয়। প্রয়োজন মতো খাবার ও সঠিক পরিচর্যায় প্রতিদিন সম্রাটের জন্য খরচ হয় ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা।’
এবার কোরবানি উপলক্ষে শখের সম্রাটকে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শৌখিন খামারি মো. ইউছুপ । তবে ক্রেতা সংকটে ভুগলেও ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রেতারা এসে সম্রাটের দাম করছেন। উপযুক্ত দাম না হওয়ায় এখনো অপেক্ষায় আছেন।
বিক্রির কারণ জানতে চাইলে ইউছুপ বলেন, সম্রাটের খাবার সম্রাটের মতোই দিতে হয়। প্রতিদিনের যা খরচ হয়, তা ব্যয়বহুল। তাই এবার কোরবানিতেই বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি ।
সম্রাটের চিকিৎসাসহ বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করেন বোয়ালখালী উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সেতু ভূষণ দাশ। তিনি বলেন,সম্রাট‘ হলেষ্টান ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়। ইউছুপ সবসময় তার খামারের প্রতি যত্নশীল। গরুগুলোর রোগ বালাই প্রতিরোধে তাকে বিভিন্ন সময় চিকিৎসা সেবা ও পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।