সাদমান সময়, মিরসরাই »
‘রেললাইনের লেভেল ক্রসিংয়ে যখন দুর্ঘটনা ঘটে, তখন আমি ভাত খাচ্ছিলাম। দুর্ঘটনার বিকট শব্দ শুনে তাড়াতাড়ি বের হই এবং দেখি ৪ যুবক আহতাবস্থায় লেভেল ক্রসিংয়ের পশ্চিম পাশে লাফাচ্ছে। তখন আমিসহ ৪-৫ জন গিয়ে তাদের সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠাই।’ এভাবেই গতকাল শুক্রবার দুপুরে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার বর্ণনা দেন রেললাইন সংলগ্ন দোকানের কর্মী জসিম উদ্দিন।
জসিম উদ্দিন বলেন, ‘রেললাইনের ওপরে উঠে দেখি মহানগর প্রভাতী ট্রেন দাঁড়িয়ে আছে। সামনে গিয়ে দেখি ইঞ্জিনের সামনে একটি সাদা মাইক্রো ঝুলছে। ভেতরে যাত্রীরা মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। আমরা তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করি। তখন গেটম্যান সাদ্দাম হোসেন জুমার নামাজ পড়ে ঘটনাস্থলে আসেন। তিনিও আমাদের সঙ্গে উদ্ধার কাজে অংশ নেয়।’
অভিযোগ করে জসিম উদ্দিন বলেন, ‘রেলের লেভেল ক্রসিংয়ে এত দুর্ঘটনা ঘটে, তবু সমাধান হয় না। রেলের এত বরাদ্দ যায় কোথায়? মানুষ এভাবে মারা গেলে শুধু দায়সারা তদন্ত কমিটি করা হবে। তারপর সবাই ভুলে যাবে। তবে আজকে শুনে ভালো লাগছে যে, আমরা আহত ৪ জনকে উদ্ধার করেছি তাঁরা সবাই আশঙ্কামুক্ত।’
উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার সকালে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার আমানবাজার এলাকা থেকে একটি মাইক্রোবাসযোগে খৈয়াছড়া ঝরনা দেখতে যান ওই তরুণেরা। ভ্রমণ শেষে দুপুর দেড়টার দিকে ফেরার পথে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মহানগর প্রভাতি ট্রেনটি মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দিলে দুর্ঘটনাস্থলেই ১১ জন নিহত হন।













