কক্সবাজার প্রতিনিধি »
কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এবার এক মসজিদের ইমামকে পিটিয়ে ও শ্বাসরুদ্ধ হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৫টার দিকে উখিয়ার ক্যাম্প-২০’র পাহাড়ি এলাকায় ছরার কাছে তার মরদেহ পাওয়া যায়। আরসা সন্ত্রাসীরা তাকে মেরে ফেলেছে বলে ধারণা পরিবার সদস্য ও ১৪ এপিবিএন অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি ছৈয়দ হারুন রশীদ’র।
নিহত মৌলভী সামসু আলম (৩৮) উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-১৭ ব্লক-সি সাব এইচের মৃত মিয়া চাঁনের ছেলে।
সূত্র জানায়, ফজরের নামাজ পড়াতে মৌলভী সামসু আলম বাসা হতে বের হন। নামাজের পরও ফিরে আসেননি তিনি। পরে লোকজন পাহাড়ি ছরার পাশে একটি মরদেহ পড়ে আছে দেখে সেখানে মানুষ জড়ো হয়। সেখানে গিয়ে এটি মৌলভী সামসু বলে সনাক্ত করে রোহিঙ্গারা।
আরও জানা যায়, ক্যাম্প-১৭ ও ২০ প্রায় কাছাকাছি। রোহিঙ্গাদের ধারণা নামাজ পড়াতে যাবার সময় তাকে তুলে নিয়ে ক্যাম্প ২০ এর শেষ সীমানায় পাহাড়ি এলাকার কাছে পেটানোর পর শ্বাসরুদ্ধ করে তাকে হত্যা করে। হত্যার পর তাকে ফেলে চলে যায়।
ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৪ এপিবিএন অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি ছৈয়দ হারুন রশীদ বলেন, খোঁজ নিয়ে জেনেছি নিহত সমসু ও তার পরিবার সদস্যরা বিতর্কিত আরসার এক গ্রুপের সাথে যুক্ত ছিল। এসব কারণে হয়তো দ্বন্দ্ব থেকে হত্যার শিকার হয়েছে।
তিনি আরও জানান, কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা বের করার চেষ্টা চলছে। মৌলভী সামসুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য উখিয়া থানা পুলিশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, গত চারদিনে গোলাগুলির ঘটনায় দুই রোহিঙ্গা শিশু আহত ও সেলিম নামে এক সাব মাঝি নিহত হয়েছেন।













