আয় না থাকায় বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকার আটটি স্থলবন্দর বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে । বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন শেষে বন্দরের ১ নম্বর গেটের সার্ভিস এরিয়ায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এসব কথা বলেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
বন্দরের সিসিটি ও এনসিটি বেসরকারিকরণ বন্ধে শ্রমিকদের আন্দোলন প্রসঙ্গে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এসব কথা বলেন। বন্দরের কার শেড, কাস্টমসের অকশন শেড, জাহাজ থেকে আমদানির চাল খালাস কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, বন্দর কেন্দ্রিক ব্যাপক বিনিয়োগ আসছে। বন্দরে বিনিয়োগ হওয়া মানে এ অঞ্চলের উন্নতি তথা দেশের মানুষের কর্মসংস্থান হওয়া। সে জন্য আরও প্রশিক্ষিত জনবল তৈরি হবে। বিশেষ করে বে-টার্মিনাল, লালদিয়া। লালদিয়ার পাশে আরেকটি দেওয়ার জন্য তারা আলাপ আলোচনা করছে। আশাকরি আগামী ৪-৫ মাসের মধ্যে বিশ্বব্যাংকসহ অন্যদের সঙ্গে আমাদের একটা চুক্তি হবে। বিশ্ব ব্যাংকের ৬৫০ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ আছে এখানে। বিশেষ করে চ্যানেল তৈরি করা, ব্রেকওয়াটার নির্মাণ। ইতিমধ্যে মোংলা বন্দরকে আপডেট করার প্রচেষ্টাও চলছে।
কাস্টমসের নিলামে অগ্রগতি খুবই ভালো। বেশ কিছু তারা নিলাম করেছে এবং আরও কিছু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এনবিআরের চেয়ারম্যান সাহেব এসেছিলেন। বেশ কিছু আইনি পরিবর্তন আনতে হচ্ছে, যাতে বন্দরে বছরের পর বছর কনটেইনার পড়ে না থাকে। আইনি পরিবর্তন প্রক্রিয়াধীন আছে। এটি হলে ১০-১৫ বছর ধরে এখানে আর কিছু পড়ে থাকবে না, নিলাম হবে। আইনি জটিলতার কারণে কাস্টমস নিলাম করতে পারছে না।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর ক্লিয়ার রাখতে হবে। আপনারা জানেন, বন্দরের কার্যক্রমের গতি বিগত ছয় মাসে অনেক বেড়েছে। আগামীতে আরও বাড়বে। আমাদের জায়গা দরকার। নিলাম হয়ে গেলে আমাদের কিছু জায়গা হবে।
নৌ উপদেষ্টা বলেন, আমি আগামীকাল কক্সবাজার যাব, পরশু টেকনাফে যাব। টেকনাফে মায়ানমারের সঙ্গে আমাদের একটা বন্দর আছে, সে জায়গাটি দেখব। ওখানে কিছু ইনপুট হয়, সেটি দেখব। একইসঙ্গে ঘুমধুম বলে একটা জায়গা আছে, যেটা আরাকান বা রাখাইনের সঙ্গে আমাদের ল্যান্ড কানেকশন। ভবিষ্যতের দিকে নজর রেখে দেখব, সেখানে একটা ল্যান্ডপোর্ট করা যায় কি না। কারণ, আগামীতে মায়ানমারে যাই থাকুক না কেন, আমাদের সঙ্গে রাখাইন রাজ্যের একটা সম্পর্ক আগে ছিল এবং থাকবে। যেহেতু সেখানে রোহিঙ্গারা ওই এলাকার। কাজেই ওটাও দেখব, ভবিষ্যতের জন্য প্ল্যান করে রাখব, যাতে ওখানে একটা পোর্ট করা যায়।
টেকনাফ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, টেকনাফ স্থলবন্দরকে নৌ-বন্দরে পরিণত করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। পাশাপাশি ঘুমধুমে একটি স্থলবন্দর করা যায় কিনা তার সম্ভাব্যতা যাচাই করা হবে বলেও জানান তিনি।