বাংলাধারা প্রতিবেদন »
জুমার নামাজ মসজিদেই আদায় করবেই এমন মনমানসিকতার মুসল্লিদের বাড়ি ফেরাতে অভিনব কৌশল অবলম্বন করেছে পুলিশ। মুসল্লিদের সাথে তর্কে না গিয়ে বুকে প্লেকার্ড ঝুলিয়ে মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন পুলিশ সদস্যরা। এমন কৌশলের কাছে নতি স্বীকার করে বাড়ি ফিরে গেছেন অনেক মুসল্লিরা সাথে নিজেদের ভুলও বুঝতে পেরেছেন।
শুক্রবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে এমন ঘটনা ঘটেছে নগরের ডবলমুরিং থানাধীন দেওয়ানহাট ফাঁড়ির কয়েকটি এলাকায়।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারের পক্ষ থেকে মসজিদে জুমার নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে খতিব, মুয়াজ্জিন, খাদেমসহ সর্বোচ্চ ১০ জন নির্ধারণ করে দিয়েছে। এছাড়া প্রতি ওয়াক্তের নামাজে ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদেমসহ সর্বোচ্চ ৫ জন মসজিদের নামাজ আদায় করতে পারবে বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সরকারের এ নির্দেশনা না মেনে কিছু মুসল্লি জুমার নামাজ মসজিদে আদায়ের চেষ্টা করলে দেওয়ানহাট পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা এমন অভিনব কৌশল অবলম্বন করে মুসল্লিদের বুঝাতে সক্ষম হন।
মসজিদগুলোর সামনে পুলিশ সদস্যরা ব্যানার ও বুকে প্লেকার্ড ঝুলিয়ে অবস্থান নেন। পুলিশ সদস্যদের বুকে প্লেকার্ডে লেখা হয়: ‘আমরা পুলিশ, আমাদেরও পরিবার আছে’, ‘ধর্ম যার যার দেশ সবার’, ‘আমরা পুলিশ আমাদেরও সন্তান আছে, আপনাদের জন্য আজ আমরা বাইরে দাঁড়িয়ে আছি।’
এমন উদ্যোগ নেন দেওয়ানহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) অর্নব বড়ুয়া। তিনি বলেন, মুসল্লিদেরকে মসজিদ থেকে মাইকে ঘোষণা দিয়ে না আসার জন্য অনুরোধ করেছিলেন ইমামেরা। কিন্তু কিছু মুসল্লি তা অগ্রাহ্য করে মসজিদে এসে ভিড় করার চেষ্টা করেন। তখন আমরা এমন পথ বেঁছে নেই।
তিনি আরো বলেন, আমরা আমাদের এমন কৌশলে মুসল্লিদের বুঝাতে সক্ষম হয়েছি। তারা বুঝেছেন। বাড়িতে ফেরত গেছেন।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম
