কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার চরণদ্বীপ এলাকার চিংড়িঘেরে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় দায়ের করা পৃথক দু’টি মামলা থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটার দিকে সালাহউদ্দিন আহমেদসহ উক্ত মামলার অপরাপর আসামিরা কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আকতার জাবেদের আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। জামিন পেয়ে মামলা দুটি স্থগিতের আবেদন করলে আদালত ফৌজদারি ২৪৯ ধারায় মামলা দুটি স্থগিত করে সালাহউদ্দিন আহমেদসহ সকল আসামিকে মামলা থেকে মুক্তি দেন।
মামলা থেকে মুক্তির আদেশ পেয়ে গণমাধ্যমে সন্তোষ প্রকাশ করছেন বিএনপির এই নেতা। সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন বিচার বিভাগ স্বাধীন হয়েছে তাই দুটি মিথ্যা মামলা থেকে আমাদের মুক্তি দেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রমাণ হয় আদালতে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে।
তিনি জানান, বিগত সরকারের সময় দায়ের করা সকল মিথ্যা ভিত্তিহীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত গায়েবি ও হয়রানি মুলক মামলা দায়ের করা হয়েছিল তা প্রত্যাহার হোক এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ সমাজের নানা শ্রেণির পেশার মানুষকে এসব মামলা থেকে খালাস দেয়া হোক।
সালাহউদ্দিন আহমদের আইনজীবী কক্সবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পিপি এডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না জানান, চকরিয়া উপজেলার চরনদ্বীপে দু’টি চিংড়ি ঘেরে ২০০১ সালে হামলা চালিয়ে দখল এবং মাছ চুরির ঘটনা উল্লেখ করে ২০০৭ সালে চকরিয়া থানায় দু’টি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। মামলায় আসামি করা হয় বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদসহ ৫০ জনেরও বেশী দলীয় নেতাকর্মী। ২০১৮ সালে পুলিশ আদালতে মামলা দুটির চার্জশিট প্রদান করেন। দুটি মামলারই বাদী মাহমুদুল হক নামের একজন ব্যক্তি। আর মামলার সকল আসামিরা সালাহউদ্দিন আহমদের রাজনৈতিক ঘনিষ্ট সহকর্মী।
বিএনপি সমর্থীত শতাধিক আইনজীবী তার পক্ষে শুনানীতে অংশ নেন।
আইনজীবীরা জানান, বৃহস্পতিবার আদালতে মামলা দুটি স্থগিতের আবেদন করে শুনানি করেন। এসময় আদালত জানিয়েছে বাদীপক্ষ এই দু’টি মামলায় একজন স্বাক্ষীকেও আদালতে আনতে ব্যর্থ হয়েছে। পুলিশ মামলার ঘটনা প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে তাই মামলা দুটি স্থগিতের আবেদন মঞ্জুর করে সালাহউদ্দিন আহমেদসহ সকল আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতির আদেশ দেন।
আদালতের সরকার পক্ষের আইনজীবী প্রতিভা দাশ জানান, দুটি মামলায় (জিআর-৪৭/২০১৩ ও ৫১/২০১৩) বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদ প্রথমে জামিন নেন। পরে ২৪৯ ধারায় মামলা দুটি স্থগিতের আবেদন করেন তিনি। দীর্ঘদিন মামলার বাদি আদালতেও আসেন না, মামলার খবরাখবরও নেন না- সেসব ঘটনা বিবেচনা করে ২৪৯ ধারায় মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন আদালত। এতে মামলা দুটির সকল আসামী মুক্তি পেয়েছেন।