বৃষ্টির কারণ খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে বন্ধ হয়ে আছে জেলার মহালছড়ি-জালিয়াপাড়া ও গুইমারা উপজেলার আভ্যন্তরীণ সড়কের যান চলাচল। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন ঐ রুটে চলাচলকারী স্থানীয়রা ভোগান্তিতে পড়েছেন।
আজ রোববার সকাল ৯ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক করতে কাজ করছেন প্রশাসন।
স্থানীয় সুত্রে জানায়, মহালছড়ি-গুইমারা সড়কের পঙ্খীমুড়া এলাকায় উঁচু ও বড় একটি পাহাড় ধসে সড়কের উপর পড়ে। এতে বন্ধ হয়ে পড়ে সড়কে সব ধরণের যানবাহন চলাচল। ধারণা করা হচ্ছে ভোরে বা সকালের দিকে এ ঘটনা ঘটতে পারে। সড়কটি সেনাবাহিনীর আওতাভুক্ত।
সিন্দুকছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান রেদাক মারমা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।
খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের টিম লিডার দীপক কুমার দাশ বলেন, সাড়ে ৯ টার দিকে খবরর পেয়ে ঘটনাস্থলে দিকে রওনা করেন। পরে সেনাবাহিনীসহ যৌথভাবে কাজ শুরু করেন তারা।
গুইমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব চৌধুরী জানান, সড়কের উপর পড়ে থাকা মাটি ও গাছ-গাছালি অপসারণের কাজ চলছে। কয়েক ঘন্টার মধ্যে সড়কটি চলাচলের উপযোগী হবে।
খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাকসুদুর রহমান জানান, বৃষ্টিপাত হওয়ায় সড়কের উপর পাহাড় ধসে পড়ার ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বেড়ে গেছে। সড়ক যোগাযোগে বিঘœতা এড়াতে ৪টি ট্রাকসহ ভ্রাম্যমাণ টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে তারা বাঘাইছড়ি-মারিশ্যাসহ কয়েকটি স্থানে কাজ করছে। মহালছড়ি-গুইমারা সড়কটি সেনাবাহিনীর দায়িত্বে রয়েছে। তারপরও দুর্ভোগ লাঘবে কোন ধরণের সহায়তার দরকার হলে সড়ক বিভাগ পাশে থাকবে। এছাড়াও বৃষ্টিতে পাহাড়ি সড়কে দুর্ঘটনারোধে যানবাহন চলাচলে বাড়তি সতর্কতা ও সাবধানে যাতায়াতের পরামর্শ দিয়েছেন মাকসুদুর রহমান।
এদিকে, দুইদিন ধরে খাগড়াছড়িতে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এর আগে টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ঘরবাড়ি। বন্ধ হয়ে পড়ে দীঘিনালা-বাঘাইছড়ি ও সাজেক রুটের যান চলাচল। । প্লাবিত হয়েছে জেলা ও উপজেলার কয়েকটি গ্রাম। পানিবন্দি ছিল কয়েক হাজার পরিবার।