ksrm-ads

১৬ মার্চ ২০২৫

ksrm-ads

নয়া দামান ঝড়ে কাঁপছে নেট পাড়া

বাংলাধারা প্রতিবেদন  »

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল সিলেটের লোকগীতি নয়া দামানের রিমিক্স ভার্সন। প্রবাসী শিল্পী মুজা ও তোশিবার গাওয়া এই গানের সাথে সূচনা ইসলাম ও অন্যদের নাচের এই ভিডিওটি দেখা হয়েছে প্রায় পৌনে এক কোটি বার। কথা সিলেটের হলেও ভাইরাল করা গানটি ধারন করা হয় খুলনার একটি বিয়েতে। বিয়ের কনেই যার মূল শিল্পী।

নিজের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে কনে সূচনা ইমলাম ও তার আত্মীয় পরিজনদের নাচের এই ভিডিওটি শখের বসেই ধারন করা হয়েছিলো। কিন্তু লোকগানের মনকারা সুর আর সাবলীল পরিবেশনার গুনে গানটি ঝড় তুলে স্যোশাল মিডিয়ায়। ছায়াছবি প্রোডাকশননের পেইজে মাত্র এক মাসে গানটি দেখা বা শোনা হয়েছে প্রায় পৌনে এক কোটি বার।

আলোচিত ভাইরাল গানটির ভিডিও চিত্রে মূল চরিত্রে থাকা সূচনা ইসলাম একজন মেডিকেল শিক্ষার্থী। খুলনাতে থাকেন তিনি। তার নাচের ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর টিকটক, লাইকির মতো প্লাটফর্মে এখন গানটি নিয়ে ভিডিও তৈরির হিরিক পড়ে গেছে।

তবে গত ২৬ এপ্রিল একই গানের তালে নাচেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তিন চিকিৎসক। রাতারাতি ভাইরাল হয় তাদের নাচের ভিডিও। ভিডিওতে দেখা যায়, একজন পুরুষ চিকিৎসক ও দু’জন নারী চিকিৎসক গানের তালে নাচছেন। গানটি ছিল সিলেটের ভাষায়। গান বাজছে ‘আইলারে নয়া দামান আসমানেরও তেরা…..। ’

করোনার প্রথম থেকেই ফ্রন্টলাইনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন চিকিৎসকরা। সংক্রমণ যতই বাড়ুক ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই তাদের। শত কঠিন বাস্তবতায়ও তাদের চালিয়ে যেতে হয় অপারেশন কিংবা রোগীর সেবা। এক পর্যায়ে তারাও ক্লান্ত হন। তবু চালিয়ে যান কাজ। সেই ক্লান্ত শরীর-মন চাঙ্গা করতে এমন ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেছেন বলে জানান ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তিন চিকিৎসক।

এমন আয়োজনে ছিলেন তিন চিকিৎসক স্বাশত চন্দ্রন, আনিকা ও ডাক্তার কৃপা বিশ্বাস। এরমধ্যে ডাক্তার স্বাশত চন্দ্রন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ইন্টান চিকিৎসক পরিষদের সহ-সভাপতি। তিনি নিজে করোনা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। এছাড়া নাচে অংশগ্রহণকারী এক নারী চিকিৎসক করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন।

এ বিষয়ে ডা. শাশ্বত চন্দন বলেন, আমাদের চিকিৎসকরা করোনারোগীদের চিকিৎসা দিতে দিতে ক্লান্ত। সেই থেকে গত কয়েকদিন ধরে মাথায় একটা আইডিয়া ঘুরছিল। তখন আনিকা ও অনারেবল মেডিক্যাল অফিসার কৃপা বিশ্বাসের সঙ্গে শেয়ার করি।

তিনি বলেন, করোনার একটি ভয়াবহ প্রতিক্রিয়া হচ্ছে মানসিক অবস্থার বিপর্যস্ত হয়ে যায়। তো আমরা চেষ্টা করেছি এই নাচের মাধ্যমে যেন আমাদের এই ডাক্তার সমাজ যেন উৎফুল্ল হয় ও তারা যেন অনুপ্রেরণা পায়। অনেকে আমাদের এই ভিডিওটি দেখে অভিনন্দন জানিয়েছেন। আমার যেন রোগীদের যে সেবাটা করি এটা যেন আমরা নিয়মিত করে যেতে পারি। এবং অন্য ডাক্তাররা যেন এখান থেকে অনুপ্রেরণা লাভ করে যাতে উৎফুল্লভাবে রোগীদের সেবা দিয়ে যেতে পারে।

ডা. আনিক বলেন, আমি আর কৃপা বিশ্বাস দু’জনেই নাচ জানতাম। চন্দন বললো, এই করোনায় চিকিৎসকদের চাঙা রাখতে একটা নাচের ভিডিও করি। আমরাও রাজি হয়ে গেলাম। চৌদ্দ সেকেন্ডের ভিডিও ছিল এটি। আমাদের চিকিৎসরাই বেশি দেখেছেন এবং কমেন্টে আমাদের প্রশংসা করেছে। ভাবতেই পারিনি এতো শেয়ার কমেন্ট রিঅ্যাক্ট হবে। আমরা খুবই আনন্দিত যে আমাদের এই ভিডিও আমাদের চিকিৎসক ও অন্যদের আনন্দ দিতে পেরেছে। চিকিৎসকদের মানসিক অবস্থা আরো চাঙ্গা করতে এই ভিডিওটি করেছি।

বাংলাধারা/এফএস/এআর

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ