ksrm-ads

১৯ মার্চ ২০২৫

ksrm-ads

সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে না জাতিসংঘ

বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতিসংঘ কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাবে না বলে জানিয়েছে। গতকাল বুধবার জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্রের কার্যালয়ের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানানো হয়।

ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, সুনির্দিষ্ট ম্যান্ডেট ছাড়া জাতিসংঘ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে না। আর হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ অন্যান্য সংগঠনের প্রতিবেদন তারা দেখেছেন।

ব্রিফিংয়ে একজন প্রশ্নকারী বলেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে বিরোধী নেতাকর্মী ও সমালোচকদের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চলমান পদ্ধতিগত দমন-পীড়ন একটি অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানকে অসম্ভব করে তুলেছে। বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ মহাসচিব সুনির্দিষ্ট কী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন?

জবাবে সংস্থাটির মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, এই নির্বাচনে কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাবে না জাতিসংঘ। সুনির্দিষ্ট ম্যান্ডেট ছাড়া জাতিসংঘ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে না।

ব্রিফিংয়ে কোনো ধরনের হয়রানি ছাড়াই বাংলাদেশের জনগণ যাতে স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারেন, স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

৭ জানুয়ারিকে ভোটের তারিখ ধরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।

ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ আজ ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর।

নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করলেও এখন পর্যন্ত ভোটে আসার কোনো লক্ষণ নেই বিএনপির। দলটি এখনো সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি আদায়ে আন্দোলন করছে। শেষ পর্যন্ত দলটি নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে প্রয়োজন তফসিল পেছানো হতে পারে বলে বেশ কয়েকজন নির্বাচন কমিশনার বলেছিলেন।

সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ আহ্বান জানিয়ে আসছে। গত অক্টোবরে জাতিসংঘও এমন আহ্বান জানিয়েছিল।

অক্টোবরে মাসে এক ব্রিফিংয়ে ডুজারিক বলেছিলেন, বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চাই আমরা। একইসঙ্গে এমন একটি পরিবেশ দেখতে চাই, যেখানে মানুষ প্রতিশোধের ভয় ছাড়াই যেকোনো পক্ষে কথা বলতে পারবে। তবে সংস্থা থেকে ম্যান্ডেট না পাওয়া পর্যন্ত জাতিসংঘ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে না।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ