২৭ অক্টোবর ২০২৫

‘যা যা আমরা চেয়েছি ভারত সবই দিয়েছে’

বাংলাধারা ডেস্ক»

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বর্তমান সংকট মোকাবিলা ও জনগণকে বাঁচাতে ভারতের কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা যা চেয়েছেন তার সবই দিয়েছে।

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‌‘বিএসআরএফ সংলাপ’-এ অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সরকারের সময়ে বেগম জিয়া তো বারবার যাননি। একবার সফরে গিয়েও আমাদের আসল কথা পানি চুক্তির কথা বলতে (ভুলে গেছেন)… এয়ারপোর্টে সাংবাদিকদের সামনে বললেন, আমি তো ভুলেই গেছি। যারা এ ধরনের সেনসিটিভ ইস্যু ভুলে যায়… শেখ হাসিনা কিছু ভুলেন না।

তিনি বলেন, তিস্তা এবার হয়নি, কুশিয়ারা হয়েছে। ৭টি সমঝোতা স্মারক ও ৫টি চুক্তি হয়েছে। আমরা খালি হাতে ফিরে আসিনি। আমি তো একটাতেই খুশি। বর্তমান সংকটে আমরা কি দেখি। আমার জনগণকে বাঁচাতে হবে। বর্তমান সংকট মোকাবিলার যা যা দরকার, যা যা আমরা চেয়েছি ভারত সবই দিয়েছে। কুশিয়ারা হয়েছে, তিস্তাও হবে। ভারত অস্বীকার করেনি আর শেখ হাসিনাও ভুলে যাননি তিস্তার কথা বলতে। আমরা ভুলে যাইনি। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কিছুটা স্বার্থের ব্যাপার আছে, সেটা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে অগ্রগতি হচ্ছে। আশা করি অদূর ভবিষ্যতে সেটাও হবে। আপাতত যা পেয়েছি আমি মনে করি তা যথেষ্ট।

মন্ত্রিসভার কয়েকজনের বেফাঁস মন্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রী বিষয়টা দেখেন, তার এখতিয়ার, তিনি ভাবছেন। আপনারাও (সাংবাদিক) লেখালেখি করছেন। এগুলো তার দৃষ্টি এড়াচ্ছে বলে আমার মনে হয় না। খোঁজ খবর তিনি নিচ্ছেন। দেশের স্বার্থে দলের স্বার্থে বাস্তবতার নিরিখে যখন যা করতে হয় তিনি বিচার বিশ্লেষণ করবেন, এটা তারই এখতিয়ার। আমাদের মন্ত্রিসভায় যারা আছেন, তাদের অনেকই তৃণমূল থেকে এসেছেন। বিভ্রান্তি থাকতে পারে বা দুর্বলতা থাকতে পারে কিন্তু মন্ত্রিসভা দুর্বল নয়। যেটুকু দুর্বলতা আছে এটা কিন্তু প্রধানমন্ত্রী কাভার করছেন। কাজেই আমাদের কোনো কাজ ঠেকে থাকছে না।

সরকারি চাকরিজীবীদের মত রাজনৈতিকদের বয়সসীমার প্রয়োজন আছে কি না-সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারিভাবে একজন মন্ত্রীর তো কোনো বয়স নেই, মুহিত সাহেব ৮০ বছর পার হওয়া পর্যন্ত মন্ত্রী ছিলেন। রাজনৈতিক দলের নেতা হিসেবে এতদিন মন্ত্রী ছিলেন।

রাজনীতির কোনো সময়সীমা থাকা উচিত নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, যতক্ষণ আপনি সক্ষম থাকবেন এটা আপনার নিজের ওপর। যার যার নিজের ওপর নির্ভর করবে। সে যদি মনে করে আমি ছেড়ে দিচ্ছি, রিটায়ার্ডমেন্টে যাচ্ছি, এমন অভিমত প্রকাশ করেন আর দলও যদি মনে করে অবসরে গেলে অসুবিধা নেই। অথবা তাকে ভিন্ন দায়িত্বে রাখা হয় যেমন- উপদেষ্টা। উপদেষ্টাদের তো এমন কোনো কাজ নেই। এটা সম্মানজনক পদ, এটা তাকে দেওয়া হয়। একজন রাজনৈতিক নেতা সারাজীবন পলিটিক্স করে জীবনটাকে শেষ করে দিয়েছে। শেষ বয়সে এসে পলিটিক্সটা যদি করার সুযোগ না থাকে তাহলে তো মরার আগেই মরে যেতে হবে। করতে থাকুক যে যতক্ষণ পারুক করুক।’

আগামী ডিসেম্বরে নিয়মানুযায়ী আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান দলের সাধারণ সম্পাদক।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ