৭ নভেম্বর ২০২৫

আত্মসমর্পণকারী সাজাপ্রাপ্ত ১৪ ইয়াবা কারবারি কারামুক্ত

কক্সবাজার প্রতিনিধি »

টেকনাফে আত্মসমর্পণ করা আত্মস্বীকৃত সাজাপ্রাপ্ত ১০১ ইয়াবা কারবারির মাঝে কক্সবাজার জেলা কারাগারে থাকা ১৭ জনের ১৪ জন কারামুক্ত হয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে গত ২৩ নভেম্বর ১৮ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত। সাথে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও করা হয়।

আত্মসমর্পণকালীন সময়ে ২১ মাস কারাভোগ থাকা ও দণ্ডিত ২০ হাজার টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়ায় আদালতের আদেশ মতে রবিবার সন্ধ্যায় এ ১৪ জনকে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।

কারা মুক্ত হওয়া ১৪ জন হলেন- নুরুল হুদা, আব্দুর রহমান, ফরিদ আলম, মাহবুব আলম, রশিদ আহমেদ, মোহাম্মদ তৈয়ব, মোহাম্মদ হাশেম, আবু তৈয়ব, আলী নেওয়াজ, মোহাম্মদ আইয়ুব, কামাল হোসেন, নুরুল বশর ওরফে কালাভাই, আব্দুল করিম ওরফে করিম মাঝি, মো. সাকের মিয়া ওরফে সাকের মাঝি।

কক্সবাজার জেলা কারাগারের সুপার মো. শাহ আলম খান বলেন, আদালত আত্মস্বীকৃত ইয়াবা কারবারীদের ১৮ মাস করে সাজা দিয়েছে। কিস্তু তারা প্রত্যেকে ২১ মাস করে হাজতবাস করেছেন। ফলে জরিমানার ২০ হাজার টাকা জমা প্রদান করে আদালত থেকে খালাস দেয়ার আদেশ পাওয়ার পর এ ১৪ জনকে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।

কারাগারে থাকা অপর ৩ আসামি শাহ আলম, জাফর আলম, দিল মোহাম্মদের আদেশও হাতে এসেছে। তাদের সোমবার সকালে আইনী প্রক্রিয়া শেষ করে মুক্তি দেয়া হতে পারে।

এ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক ৮৩ আসামি হলো, সাবেক এমপি বদির ভাই আব্দুর শুক্কুর, আমিনুর রহমান ওরফে আব্দুল আমিন, বদির ভাই শফিকুল ইসলাম ওরফে শফিক, বদির ভাই ফয়সাল রহমান, দিদার মিয়া, বদির ভাগনে মো. সাহেদ রহমান নিপু, আব্দুল আমিন, নুরুল আমিন, এনামুল হক ওরফে এনাম মেম্বার, একরাম হোসেন, ছৈয়দ হোসেন, বদির বেয়াই সাহেদ কামাল ওরফে সাহেদ, মৌলভী বশির আহমদ, আব্দুর রহমান, মোজাম্মেল হক, জোবাইর হোসেন, নুরুল বশর ওরফে কাউন্সিলার নুরশাদ, বদির ফুপাত ভাই কামরুল হাসান রাসেল, বর্তমানে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান ওরফে জিহাদ, মোহাম্মদ শাহ, নুরুল কবির, মারুফ বিন খলিল ওরফে বাবু, মোহাম্মদ ইউনুচ, ছৈয়দ হোসেন ওরফে ছৈয়দু, মোহাম্মদ জামাল ওরফে জামাল মেম্বার, মো. হাসান আব্দুল্লাহ, রেজাউল করিম ওরফে রেজাউল মেম্বার, মো. আবু তাহের, রমজান আলী, মোহাম্মদ আফছার, হাবিবুর রহমান ওরফে নুর হাবিব, শামসুল আলম ওরফে শামশু মেম্বার, মোহাম্মদ ইসমাঈল, আব্দুল গনি, মোহাম্মদ আলী, জামাল হোসেন, আব্দুল হামিদ, নজরুল ইসলাম, মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে দানু, মোহাম্মদ সিরাজ, মোহাম্মদ আলম, মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, হোসেন আলী, নুরুল কবির মিঝি, শাহ আজম, জাফর আহমেদ ওরফে জাফর, রুস্তম আলী, নুরুল আলম, শফি উল্লাহ, মো. জহুর আলম, মোহাম্মদ হুসাইন, মোহাম্মদ সিদ্দিক, রবিউল আলম, মঞ্জুর আলী, হামিদ হোসেন, মোহাম্মদ আলম, নুরুল আমিন, বোরহান উদ্দিন, ইমান হোসেন, মোহাম্মদ হারুন, শওকত আলম, হোছাইন আহম্মদ, মোহাম্মদ আইয়ুব, মো. আবু ছৈয়দ, মো. রহিম উল্লাহ, মোহাম্মদ রফিক, মোহাম্মদ সেলিম, নুর মোহাম্মদ, বদির খালাত ভাই মং অং থেইন ওরফে মমচি, মোহাম্মদ হেলাল, বদিউর রহমান ওরফে বদুরান, ছৈয়দ আলী, মোহাম্মদ হাছন, নুরুল আলম, আব্দুল কুদ্দুস, আলী আহম্মেদ, আলমগীর ফয়সাল ওরফে লিটন, জাহাঙ্গীর আলম, নুরুল আলম, সামছুল আলম শামীম, মোহাম্মদ ইউনুচ, নুরুল আফসার ওরফে আফসার উদ্দিন, মোহাম্মদ শাহজাহান আনছারী।

গত ২৩ নভেম্বর কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল টেকনাফে প্রথম দফায় আত্মসমর্পনকারি ১০১ জন ইয়াবাকাররিকে ১ বছর ৬ মাস করে কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়েছে। একই সঙ্গে অস্ত্র মামলায় সকলকে খালাসের আদেশ দিয়েছে আদালত। এর আগে ২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ১০২ জন কারাবারী আত্মসমর্পন করেন তারা।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ