৯ নভেম্বর ২০২৫

৩৩ বছর পর রায় : মহেশখালীর খাইরুল হত্যায় সাবেক মেয়রসহ ৬ জনের যাবজ্জীবন

কক্সবাজার প্রতিনিধি »

কক্সবাজারের মহেশখলীর চাঞ্চল্যকর খাইরুল আমিন সিকদার হত্যার ৩৩ বছর পর রায় হয়েছে। রায়ে তৎকালীন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল আলম ও মহেশখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র সরওয়ার আজম এবং তার তিন ভাইসহ মামলায় অভিযুক্ত ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ম আদালতের বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন।

মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, মহেশখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র সরওয়ার আজম, তার ভাই উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান মৌলভী জহির উদ্দীন, নাছির উদ্দীন, তৎকালীন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল আলম প্রকাশ শামসু চেয়ারম্যান, অ্যাডভোকেট হামিদুল হক ও সাধন দাশ।

রায় ঘোষণার সময় সাধন ছাড়া বাকি আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দীর্ঘ ৩২ বছর পূর্বে মহেশখালী পৌরসভায় নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার হন জাতীয় পার্টির তৎকালীন নেতা নুরুল আমিন। তবে দীর্ঘদিন নানা জটিলতায় মামলার অগ্রগতি ছিলনা। সম্প্রতি আমরা মামলটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য উদ্যোগ নিই। মামলায় মোট ৩৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও যুক্তিতর্ক শেষে অভিযুক্ত ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণীত হওয়ায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। একই সাথে এক লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়। আর ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণীত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেয়া হয়। মামলা চলাকালীন সময় দুই জন মৃত্যু বরণ করেন।

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন জমে থাকা আলোচিত মামলাসহ গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলো দ্রুত শেষ করতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

আদালত সূত্র মতে, ১৯৯০ সালে ৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় মহেশখালী গোরগঘাটা এলাকায় প্রতিপক্ষের গুলিতে নির্মমভাবে খুন হন কক্সবজার জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য, তৎকালীন জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা নুরুল আমিন। এ ঘটনায় নিহতের বড়ভাই মাহমুদুল হক বাদী হয়ে তৎকালীন গোরগঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল আলমসহ ২৬ জনকে আসামী করে মহেশখালী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-০৪/১৯৯০ (জিআর-৪২/১৯৯০ এবং এসটি ১৫৫/২০০২)। মামলা তদন্ত শেষে একই বছর ২২ নভেম্বর ২৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দেন তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি। ২০০৩ সালে ২৭ জুলাই আদালত অভিযোগ গঠন করেন। ৩৩ বছর আগের আলোচিত খাইরুল আমিন হত্যা মামলায় দীর্ঘ আইনী প্রক্রিয়ার পর রায়ের দিন ধার্য্য ছিল ১০ নভেম্বর। আগে বেশ কয়েকবার রায়ের তারিখ পিছিয়েছিল আদালত। আসামীদের কারাগারে পাঠানোর পর ২৪ নভেম্বর চুড়ান্ত রায়ের দিন ধার্য্য করা হয়েছিল। সেদিনও রায় না হয়ে এক ডিসেম্বর চুড়ান্ত রায় ঘোষণা হয়েছে।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ