ইবি প্রতিনিধি »
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে নির্ধারিত সময়ে যেতে না পেরে ভোগান্তিতে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আন্তঃবিভাগ খেলা চালুসহ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ইভেন্টে দল পাঠানোর দাবিতে এ বিক্ষোভ করা হয়।
রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা আটকে রাখে শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে সাড়ে ৩টার দিকে প্রক্টর অফিসে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনায় বসে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ।
শিক্ষার্থীরা জানায়, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বাস্কেটবল এবং ব্যাটমিন্টন খেলা শুরু হবে ১৩ তারিখ কিন্তু খেলা দুইটির ফাইল এখনো প্রশাসনে আটকে আছে। এখন সবাই দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছে- যেতে পারবে কি পারবে না। অথচ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ইভেন্টগুলোতে দল পাঠানোর জন্য ন্যূনতম এক মাস আগে থেকেই দল গঠন করতে হয়। তারপর অনুশীলনের মধ্যদিয়ে খেলায় অংশগ্রহণ করতে হয়। কিন্তু সেখানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো দলই গঠন করা হয়নি। এছাড়াও গত তিন বছর করোনার জন্য অভ্যন্তরীণ কোন খেলাধুলা হয় নাই। করোনার পরেও প্রশাসন কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করে নাই অভ্যন্তরীণ যে খেলাধুলাসমূহ হওয়ার কথা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগগুলোতে চিঠি দিয়ে দিয়ে হ্যান্ডবল, বাস্কেটবল, ব্যাডমিন্টন এবং টেবিলটেনিস খেলাগুলোর ফিকশ্চার তৈরি করা হলেও খেলাগুলোর কোনো কার্যক্রম দেখা যায়নি।
এসময় শিক্ষার্থীরা আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ইভেন্টগুলোতে দ্বিধাহীনভাবে অংশগ্রহণ করার দাবি জানায়। এছাড়াও অভ্যন্তরীণ খেলাগুলোর দাবি করেন যেমন হ্যান্ডবল, বাস্কেটবল, ক্রিকেট, ফুটবল, টেবিল টেনিস যত ধরনের খেলা আছে প্রত্যেকটা খেলা আয়োজন করার এবং একটি বাৎসরিক ক্রীড়া সূচি দেওয়ার।
ইবি ক্রিকেট এসোসিয়েশনের সভাপতি এইচ এম বুলবুল বলেন, গত বঙ্গবন্ধু চ্যাম্পিয়নশিপে আমাদের বাস্কেটবল টিম চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। আমাদের ভিসি স্যারও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার নিয়েছিলো। যেখানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের রেপুটেশন বাড়ে সেখানে বারবার কেনো এই খেলার কার্যক্রমগুলো বন্ধ করে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, এর আগে যখন গেট বন্ধ করেছিলাম তখন প্রশাসন আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলো আমাদেরকে নিয়ে প্রক্টর অফিসে মিটিং ও করেছিলো। কিন্তু সেই আশ্বাসের এতোদিন পরেও আমরা কোনো রেজাল্ট পাই নাই। কয়েকদিনপর আন্তঃবিভাগ ক্রিকেট খেলা শুরু হওয়ার কথা কিন্তু সেটিও নাকি বাজেটের কারণে বন্ধ হওয়ার পথে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক ড. সোহেল বলেন, পূর্ণাঙ্গ টিম গঠনের জন্য আমাদের পর্যাপ্ত বাজেট নেই। বিষয়গুলো উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্য স্যারকে জানানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, আমি নতুন দায়িত্ব নিয়েছি। শিক্ষার্থীদের এ দাবির বিষয়গুলো আমাকে জানানো হয়নি। তবে কারো কোনো দাবি থাকলে সেগুলো আলোচনার টেবিলে সমাধান করা উচিত। গেটে তালা দিয়ে দাবি আদায়ের সংস্কৃতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।












