১৬ ডিসেম্বর ২০২৫

কক্সবাজারে হোটেল থেকে ভূয়া কারাপরিদর্শক দম্পতি আটক

কক্সবাজার প্রতিনিধি »

কক্সবাজার সৈকতের হোটেল সী ক্রাউন থেকে ভূয়া কারাপরিদর্শক এক দম্পতিকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ।

হোটেলের বিল পরিশোধে তালবাহানা করে নিজেদের তারা সিনিয়র কারাপরিদর্শক হিসেবে জাহির করায় জেলা কারাগারের জেল সুপার বজলুর রশীদ আখন্দের মুখোমুখী করা হয়। নানা প্রশ্নবানের পর তারা ভূয়া বলে স্বীকার করায় কক্সবাজার সদর থানা পুলিশের হাতে তোলে দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে তাদের আটক করে থানায় নেয়া হলেও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত মামলা কিংবা অন্যকোন সিদ্ধান্ত হয়নি। তাদের অভিভাবকরা হোটেল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের সাথে যোগাযোগ করছেন বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার সদর থানার ওসি (অপারেশন) মোহাম্মদ ইয়াছিন।

আটক রিয়াদ বিন সেলিম ও শাহনাজ পারভীন মায়া সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। রিয়াদ চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভার পাইকপাড়ার তোফেল আলী মুন্সী বাড়ির মো. সেলিম উদ্দিনের ছেলে।

হোটেল সী- ক্রাউন কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে কক্সবাজার জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক বজলুর রশীদ আখন্দ জানান, গত ২১ জুন হোটেলে অতিথি হওয়া রিয়াদ-মায়া দম্পতি নিজেদের সিনিয়র কারাপরিদর্শক হিসেবে পরিচয় দেন। হোটেলে উঠার পর থেকে খাবারসহ যাবতীয় কিছু বাকিতে ভোগ করছিলেন তারা। নিয়ম মোতাবেক তাদের কাছ থেকে রুম ভাড়া আর খাবারের টাকা চাইলে তারা আজ-কাল পরিশোধের কথা বলে। তাদের আচরণে গরমিল দেখা গেলে হোটেল কর্তৃপক্ষ জেলা কারাগারে ফোন দেয়।

বজলুর রশীদ আখন্দ আরোও বলেন, কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানানোর পর ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের সাথে কথা বলি। অসংলগ্ন কথায় তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করা হলে পরে আসল পরিচয় বলে। তখন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোছাইনের সহযোগিতায় তাদের কক্সবাহার সদর মডেল থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।

তাদের আটক করতে যাওয়া সদর মডেল থানার ওসি (অপারেশন) মোহাম্মদ ইয়াছিন জানান, রিয়াদ-মায়া দম্পতি সিনিয়র কারাপরিদর্শকের ভূয়া পরিচয়ে উক্ত হোটেলে ১৩ দিন অবস্থান করছেন। বিষয়টি খুবই সন্দেহের। চট্টগ্রামের স্থায়ী বাসিন্দারা কক্সবাজারে কোন বিশেষ কাজ ছাড়া ১৩ দিন থাকা অস্বাভাবিক। এর পেছনে মাদকের কোন সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, আটক রিয়াদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম আকবর শাহ থানায় ধর্ষণ ও অপহরনের মামলা রয়েছে। বাকি সব বিষয় গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তার পরিবার হোটেল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের সাথে যোগাযোগ করছেন। হোটেলের সমস্যা সমাধানের পর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলাধারা/এফএস/এমআর

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ