বাংলাধারা প্রতিবেদন »
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকে কর্মবিরতিতে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পণ্য খালাস বন্ধ হয়ে গেছে।চট্টগ্রামে ফেডারেশনভুক্ত প্রায় ৩ হাজার নৌযান রয়েছে।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা জানান, ১১ দফা দাবি আদায়ের জন্য আমাদের এই কর্মবিরতি। ভারতগামী শ্রমিককে ল্যান্ডিং পাস প্রদান, সব নৌযান শ্রমিককে মাসে ৪ হাজার টাকা খাদ্য ভাতা, সমুদ্র ও রাত্রিকালীন ভাতা নির্ধারণ, কর্মস্থলে ও দুর্ঘটনায় মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ, মালিক কর্তৃক নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বুক প্রদান, নদীর নাব্যতা রক্ষা ও প্রয়োজনীয় মার্কা, বয়া ও বাতি স্থাপন, বাল্কহেডসহ সব নৌযান ও নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধ করা, ২০১৬ সালের গেজেট অনুযায়ী কেরানি, কেবিন বয়, ইলেকট্রিশিয়ানসহ সব নৌশ্রমিকদের বেতন প্রদানের দাবিতে আমরা কর্মবিরতি পালন করছি।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ইউনিয়নের চট্টগ্রাম শাখার সহ সভাপতি নবী আলম গণমাধ্যমকে জানান, শুক্রবার দিনগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে নৌযান শ্রমিকেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কর্মবিরতি পালন করছেন। আউটারে কোনো লাইটার জাহাজ নেই।
বহির্নোঙরে পণ্য খালাস ও নৌপথে পরিবহন বন্ধ থাকলেও বন্দরের মূল জেটিতে কনটেইনার হ্যান্ডলিং স্বাভাবিক রয়েছে।বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, বন্দরের এনসিটি, সিসিটি ও জিসিবিসহ মূল জেটিতে কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং স্বাভাবিক রয়েছে।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম