২৯ অক্টোবর ২০২৫

প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কাপ্তাই হ্রদে চলছে নিষিদ্ধ পোনা শিকার

রাঙামাটি রাঙামাটি »

গত ১৮ আগস্ট থেকে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদ থেকে মৎস্য আহরণ ও বিপনন শুরু হওয়ার পর থেকেই এক শ্রেণির অসাধু জেলে ও ব্যবসায়ি কর্তৃক বিক্রয় নিষিদ্ধ পোনা মাছ আহরণ করে বাজারে বিক্রয় করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ মৎস্য সংরক্ষণ বিধিমালা ১৯৫০ সংশোধিত-২০১৩ অনুসারে কাপ্তাই হ্রদে ২৩ সেন্টিমিটার তথা ৯ ইঞ্চির কম সাইজের রুই, কাতলা, মৃগেল, কালিবাউশ, ঘনিয়া ও আইড় মাছ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহণ সম্পূর্ন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

এ নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এক শ্রেণির অসাধু চক্র প্রতিনিয়তই সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে কাপ্তাই হ্রদ থেকে পোনা মাছ আহরণ করে বিভিন্ন হাট-বাজারে গোপনে বিক্রি করে আসলেও স্বল্প জনবলের কারণে তদারকি সংস্থা বিএফডিসি কর্তৃপক্ষ এসব অসাধু ব্যবসায়ি সিন্ডিকেটকে পুরোপুরো কব্জায় আনতে হিমশিম খাচ্ছে। ইতোমধ্যেই রাঙামাটির বিভিন্ন বাজারে ঝটিকা অভিযানও পরিচালনা করেছে বিএফডিসি কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন বিএফডিসি রাঙামাটি কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লে. কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, আমরা সারা বছরই কাপ্তাই হ্রদে ২৩ সেন্টিমিটারের নীচে কার্প জাতীয় মাছ আহরণ ও বিপনন সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছি। কিন্তু তারপরও একটি অসাধু চক্র এসব অপকর্মগুলো করছে। আমরা যেখানেই খবর পাচ্ছি সেখাইে অভিযান পরিচালনা করে মাছগুলো জব্দ করছি এবং জরিমানা করছি।

তিনি বলেন, আসলে বিএফডিসি’র মতো একটি সংস্থার এতোবড় কাপ্তাই হ্রদের মৎস্য সম্পদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা অনেকটা কঠিন ব্যাপার। কাপ্তাই হ্রদের সাথে জীবন-জীবিকা ওতপ্রোতভাবে জড়িত তাদের নিজস্ব সচেতনতামূলক প্রচেষ্টা ছাড়া আমরা কতটুকুই বা সফলতা পাবো। তাই বিভিন্নসময় উঠান বৈঠক করে আমরা মানুষজনকে সচেতন করার চেষ্টা করছি। এছাড়াও আমাদের বিএফডিসির লোকজনের মাধ্যমে রাঙামাটির বাজারগুলোতে মৎস্য ব্যবসায়িদের পোনা মাছ বিক্রি না করতে বার্তা পৌঁছাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যেই আমরা রাঙামাটির বাজারগুলোতে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেছি এবং বাজারের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে পোস্টার লাগিয়েছি। যাতে করে মানুষের মাঝে সচেতনতাবৃদ্ধি পায়।

এদিকে বিএফডিসি কর্তৃক বিতরণকৃত প্রচারপত্রে উল্লেখ করা হয়, মৎস্য ব্যবসায়ি, আড়তদার, খুচরা ও পাইকারি মাছ বিক্রেতাদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, মৎস্য সংরক্ষণ বিধিমালা ১৯৫০(সংশোধিত-২০১৩) অনুসারে ২৩ সেন্টিমিটারের(৯ ইঞ্চি) চেয়ে ছোট সাইজের রুই, কাতলা, মৃগেল, কালিবাউশ, ঘনিয়া ও আইড় মাছ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহণ সম্পূর্ন নিষিদ্ধ। এই নিষেধাজ্ঞা যদি কেহ অমান্য করে তবে এক বছর বা অনধিক দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা অনধিক পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।

আরও পড়ুন