স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মডেল আমাদের এ দেশে রাংকুট একটি অনন্য তীর্থস্থান। আমি মনে করি সম্প্রীতির এ দেশে সকলে মিলেমিশে বাস করতে এবং সকল অকল্যাণ দুর করবে এই জ্ঞান চর্চা কেন্দ্র । বাংলাদেশের এই প্রান্তেও মহামানব বুদ্ধ দেবের পদচারণা হয়েছিল, সম্রাট অশোক এ প্রাচীন স্থাপনাটি নির্মান করেছিলেন।
রামুর প্রসিদ্ধ বৌদ্ধ বিহার রাংকূট বনাশ্রম বৌদ্ধ বিহার ও জগতজ্যোতি চিলড্রেন ওয়েল ফেয়ার হোম পরিদর্শন কালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, এমপি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, এর আগেও এখানে এসছিলাম। এখানে যতই আসি ততই মুগ্ধ হই।অনাথ শিশুদের একটি আশ্রম, যেটি আমি ইউটিউব এ চার্জ করে দেখেছিলাম। তখনই আসার জন্য মনস্থির করেছিলাম। আজকে এসে অনেক ভাল লাগলো। এই শিশুরা একদিন বিশ্বে নেতৃত্ব দিবে, এ ঐতিহাসিক স্থাপনাটি যাতে স্থায়ীত্ব এবং সমৃদ্ধ লাভ করে সেক্ষেত্রে আমাদের সজাগ দৃষ্টি থাকবে এবং সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা দেয়া হবে।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) দুপুরের দিকে মন্ত্রী উপজেলার রাজারকুল ইউনিয়নে অবস্থিত রাংকুট বনাশ্রম বৌদ্ধবিহারে পৌছাঁলে বৌদ্ধবিহারের অধ্যক্ষ কে, শ্রী জ্যোতিসেন মহাথেরো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বরণ করেন।
পরে মন্ত্রী রাংকুট বৌদ্ধ বিহার, রাংকুট পদ্মবীনা জুলন্ত সেতু, মীরাক্কেল গার্ডেনসহ জগতজ্যোতি চিলড্রেন ওয়েল ফেয়ার হোম পরিদর্শনে গেলে জগতজ্যোতি চিলড্রেন ওয়েল ফেয়ার হোমের শিশু শিক্ষার্থীরা গান এবং নৃত্য পরিবেশনা করে মন্ত্রী এবং উপস্থিত সুধীজনদের বিনোদিত করেন। পরে জগতজ্যোতি চিলড্রেন ওয়েল ফেয়ার হোমের জন্য নগদ অর্থ সহায়তা দেন মন্ত্রী।
পরিদর্শনকালে কক্সবাজার পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুল ইসলাম পিপিএম (বার),মন্ত্রীর একান্ত সচিব মু. আসাদুজ্জামান, জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফ মাহমুদ অপু, সহকারি একান্ত সচিব মনির হোসেন, রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ারুল হোসাইন, রাংকুট বনাশ্রম বৌদ্ধবিহারের অধ্যক্ষ কে. শ্রী জ্যোতিসেন মহাথের, রাজারকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুফিজুর রহমান, রামু ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা সুমেন বড়ুয়া প্রমুখ সাথে ছিলেন।
এরপর মন্ত্রী সীমান্ত শহর টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ ভ্রমণ করেন।
উল্লেখ্য, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি গতকাল ৩ জুলাই সোমবার দুপুরে তিন দিনের সফরে কক্সবাজার আসেন এবং ৪ জুলাই কক্সবাজারে অবস্থান করে ৫ জুলাই বুধবার কক্সবাজার ত্যাগ করার কথা রয়েছে।
