পার্বত্য রাঙামাটি জেলায় বর্তমান সময়ে ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাঙামাটি স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যানুসারে গত দুই মাসে ১৫শ জনেরও অধিক রোগী ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। অপরদিকে বিগত মাসগুলোতে রাঙামাটিতে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা না বাড়লেও চলতি সপ্তাহে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে।
মঙ্গলবার একদিনেই রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে ১৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন রাঙামাটির সিভিল সার্জন ডাঃ নীহার রঞ্জন নন্দী। তিনি বলেন, চলতি মাসে পুরো রাঙামাটি জেলায় সর্বমোট ২৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়েছে।
ডাঃ নীহার রঞ্জন নন্দী বলেন, সারাদেশের ন্যায় রাঙামাটিতে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনক বৃদ্ধি না পেলেও অত্রাঞ্চলে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাঘাইছড়ি, বরকল, জুরাছড়ি ও বিলাইছড়ি উপজেলাগুলোতে আক্রান্তের হার সবচাইতে বেশি। এসব উপজেলার অধিকাংশ এলাকা ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় রাঙামাটিতে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তদের মধ্যে ৯৭ শতাংশ রোগী উক্ত জায়গাগুলো থেকে পাওয়া যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ম্যালেরিয়া রোগী দেশের ২৯ ভাগ রাঙামাটিতে। যার মধ্যে দুর্গম এলাকায় সবচেয়ে বেশি। ইতোমধ্যে সাড়ে তিন লাখ মশারি বিতরণ করা হয়েছে। ব্র্যাকের সহযোগিতায় প্রয়োজনীয় স্বাস্থসেবা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ডেঙ্গুর রক্ত পরীক্ষা আগামী ১ মাস ফ্রিতে করা যাবে। জ্বর হলেই যেন সবাই রক্ত পরীক্ষা করায়।
এদিকে, অন্যতম পর্যটন শহর রাঙামাটিতে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া রোগের বিস্তার ঠেকাতে রাঙমাটি পৌরসভার উদ্যোগে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। মশক নিধন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় নিয়মিত ফগার মেশিন দিয়ে ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। এছাড়া যেসব স্থানে এডিস মশা ডিম দেয়, তা পরিষ্কার করা হচ্ছে।
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডাঃ শওকত আকবর খান জানান, মূলত রাঙামাটির দূর্গম উপজেলা গুলোতে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং দূর্গমতার কারণে চিকিৎসা সেবা পেতে একটু সময় লাগছে।













