কক্সবাজার প্রতিনিধি »
কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রোহিঙ্গাসহ দুই মাদক পাচারকারী নিহত হয়েছেন। এ সময় বিজিবির চার সদস্য আহত হন। সোমবার ভোররাতে উপজেলার হ্নীলা মৌলভী বাজার আড়াই নং স্লুইচ গেইট পয়েন্ট এলাকায় বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থল হতে ২টি দেশীয় তৈরী বন্দুক, ৪ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ২০ হাজার পিস ইয়াবা ও ২টি কিরিচ জব্দ করা হয়। টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়ন বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর শরিফুল ইসলাম জমাদ্দার এসব তথ্য জানান।
নিহতরা হলেন, উপজেলার হোয়াইক্যং নয়াবাজারের জলিল আহমদের ছেলে দেলোয়ার হোছেন (৩০) এবং উখিয়া উপজেলার কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্প-২ এর রোহিঙ্গা নাগরিক মৃত হায়দার শরীফের ছেলে নুরুল ইসলাম (২৭)।
বিজিবি সূত্র জানায়, ভোররাতে উপজেলার হ্নীলা মৌলভী বাজার আড়াই নং স্লুইচ গেইট পয়েন্ট দিয়ে মাদকের চালান অনুপ্রবেশের সংবাদ পেয়ে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের একটি বিশেষ টহল দল ঘটনাস্থলে অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর কয়েক ব্যক্তি সশস্ত্র অবস্থায় কয়েকটি পুটলা নিয়ে এগিয়ে আসতে থাকলে বিজিবি জওয়ানরা চ্যালেঞ্জ করায় অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে এবং কিরিচ নিয়ে হামলা করে। এতে বিজিবির ৪ সদস্য আহত হন। বিজিবিও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলিববর্ষণ করার পর হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
এসময় ঘটনাস্থল তল্লাশি করে ২টি দেশীয় তৈরী বন্দুক, ৪ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ২০হাজার পিস ইয়াবা ও ২টি কিরিচসহ গুলিবিদ্ধ দুইজনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা সদর হাসপাতালে নেয়। আহত বিজিবি সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য গুলিবিদ্ধ দুইজনকে কক্সবাজার রেফার করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরীর পর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপ অধিনায়ক মেজর মো. শরীফুল ইসলাম জোমাদ্দার জানান, এ ঘটনায় পৃথক আইনে মামলা করা হচ্ছে।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর













