বাংলাধারা ডেস্ক »
করোনাভাইরাসের কারণে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইউরোপের দুই দেশ থেকে সাতজন দেশে এসেছেন। গত বুধবার (১৮ মার্চ) রাতে তারা সুইডেন ও স্লোভেনিয়া থেকে পৃথক দুই ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছান। পরে তাদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘বিশেষ অনুমতি’ নিয়ে এ সাতজন বাংলাদেশে এসেছেন বলে জানিয়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। গত ১৬ মার্চও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে দেশে আসেন ইউরোপের ৯৬ যাত্রী।
শাহজালাল বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদ উল-আহসান বলেন, কাতার এয়ারওয়েজ ও টার্কিশ এয়ারলাইন্সের দুটি ফ্লাইটে ওই সাতজন দেশে এসেছেন। তাদের তিনজন সুইডেনের এবং চারজন স্লোভেনিয়ার। নিষেধাজ্ঞার কারণে তাদের প্রথমে ঢুকতে না দেয়া হলেও তারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি নিয়ে বাংলাদেশে পা রাখেন।
তিনি আরও বলেন, ওই সাতজনকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মাধ্যমে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে আশকোনার হজক্যাম্পে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
ইতালি-স্পেনসহ বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে গত ১৬ মার্চ ইউকে (যুক্তরাজ্য) বাদে ইউরোপ থেকে কোনো যাত্রীর বাংলাদেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
তবে এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘মানবিক বিবেচনায় অনুমতি’ নিয়ে ইউরোপ থেকে ৯৬ যাত্রী নিয়ে ১৬ মার্চ সন্ধ্যায় বাংলাদেশে পৌঁছায় কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট। এয়ারলাইন্সটির কিউআর-৬৩৪ ফ্লাইটটিতে ইতালির ৬৮ জন, জার্মানির ১৮ জন ও ইউরোপের অন্যান্য দেশের মিলিয়ে ৯৬ জন যাত্রী ছিলেন।
চীনে করোনা পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এলেও এখন ইতালিসহ ইউরোপ হয়ে উঠেছে এই ভাইরাসের মূল কেন্দ্র। ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৪ হাজার ২০৭ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজার ৭১৩ জন। এদের মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২ হাজার ৯৭৮ জন।
অন্যদিকে সুইডেনে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩০১ জন। এদের মধ্যে প্রাণ গেছে ১০ জনের। আর স্লোভেনিয়ায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২৮৬ জন। এদের মধ্যে প্রাণ গেছে একজনের।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথমবার করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপর থেকেই তা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ১৯ হাজার ৩৪৫ জন। মারা গেছেন ৮ হাজার ৯৬৯ জন। সূত্র : জাগো নিউজ
বাংলাধারা/এফএস/টিএম/এএ
				












